দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ রাতের আকশে দুই-একটা তারা খসতে তো প্রায়শই দেখি। কিন্তু মাঝরাতের আকাশ যদি ভরে যায় শয়ে শয়ে খসে পরা তারার আলোয়। হ্যাঁ, আর কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। মধ্যরাতে যখন চাঁদ আরো হেলে পরবে দিগন্তে তখন আকাশজুরে শুরু হবে আলোর খেলা।
নাসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে এবার ঘন্টায় ১২০টি উল্কা খসে পড়বে রাতের আকাশে। যা নাকি অন্য বছরে গড়ে ২০-৩০টির বেশি হয়না।
এই খসে পরা তারার আলোকে বলে মিটিয়র শাওয়ার এককথায় উল্কাবৃষ্টি। কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই, তা পৃথিবীপৃষ্টের অনেক আগে ছাই হয়ে বিলীন হয়ে যাবে। এম পি বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের ডিরেক্টর দেবীপ্রসাদ দুয়ারি এই উল্কাবৃষ্টি সম্বন্ধে বলেছেন যে, এই উল্কাবৃষ্টি যাকে নাসা জেমিনিড মিটিয়র শাওয়ার বলছে তা এই বছরের সবথেকে বড় উল্কাবৃষ্টি হতে চলেছে।
আরো পড়ুনঃ৩৯৭ বছর পর ঘটতে চলেছে সংযোগ! রাতের কলকাতা সাক্ষী থাকবে এক বিরল ঘটনার
নাসা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে এবার ঘন্টায় ১২০টি উল্কা খসে পড়বে রাতের আকাশে। যা নাকি অন্য বছরে গড়ে ২০-৩০টির বেশি হয়না। স্পেসডটকম তাদের সাইটে এই বিষয়ে বিষদ তথ্য দিয়ে জানিয়েছে যে কোনো রকমের বাইনোকুলার বা চশমা ছাড়াই দুই গোলার্ধের মানুষ এই উল্কাবৃষ্টি দেখতে পারবে। ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে ১৪ ডিসম্বরের ভোররাত অবধি দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। তবে পিটিআই সূত্রে খবর এই উল্কাবৃষ্টি দেখার আদর্শ সময় হল মধ্যরাত দুটো। রাত দেড়টা থেকে আড়াইটে অবধি নাকি ১৫০-এর বেশি উল্কা আকাশকে আলো করে খসে পরবে।
সেই ১৮০০ সালের পর থেকে জেমিনি কন্টালেশন থেকে শয়ে শয়ে উল্কা ধেয়ে আসে পৃথিবীর বুকে কিন্তু তাদের কয়েকটিকেই দেখা যায়। বাকিগুলি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগেই পুড়ে চাহি হয়ে যায়। কিন্তু এবারের উল্কাবৃষ্টি হবে একেবারে আলাদা। দেবীপ্রসাদ বাবু সকলকে রাতের আকাশের এই ‘স্বর্গীয় ঘটনা’টির সাক্ষী থাকতে অনুরোধ করেছেন। সঙ্গে পিটিআই আরো বলেছে যে, এ বছর দেশের সব জায়গা থেকে দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি। কিন্তু মন্দকপাল সেই সময় আকাশে মেঘ থাকলে বিরাগভাজন হবে উৎসাহীরা।