দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক ভয়ঙ্কর তথ্য। ধুলো আর মেঘের সঙ্গে মিশে নাকি কিছু ব্যাক্টেরিয়া এক মহাদেশ থেকে ঢুকে যাচ্ছে আরেক মহাদেশ। বিমান বা কোনো সামগ্রী নয় সামান্য হাওয়ায় ভেসে, ধুলোর সঙ্গে মিশে নাকি চলে আসছে আরেক ভূখণ্ডে। জার্নাল অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইবেরলুটিস নামে নাকি এই মাইক্রোবস ধুলোর সঙ্গে মিশে থাকে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
বিজ্ঞানীদের আরো দাবী যে এই ভাইরাস কেবলমাত্র মানুষ বা পশু শরীরে থাবা বসাচ্ছে না তার সঙ্গে নাকি আবওহাওয়া ও ইকো সিস্টেমকেও প্রভাবিত করছে। ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাদা, স্পেনের একদল গবেষক জানাচ্ছেন যে এই মাইক্রোবের শরীরে নাকি একশোর বেশি মাইক্রোনস আছে। গবেষকরা একে দৈত্যাকার বায়ো-এরোসল বলছেন। তাদের মতে যত ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস আছে তারা এই মাইক্রোবসের মধ্যেই থাকে। এ যেন তাদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা।
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরে বিক্রির ছাড়পত্র পেল ল্যাবরেটরিতে তৈরী ‘কৃত্তিম মাংস’! – সৌরদীপ চক্রবর্তী
গ্রানাদার গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, এই ইবেরলুটিসের ভেতরে ব্যাক্টেরিয়ারা বেশ ভালোভাবে থাকে। কারণ এরোসলের মধ্যে অনেক রকমের মাইক্রো অর্গ্যানিসম থাকে। তাদেরি সংহার করে দিব্যি থাকে ভাইরাস। এছাড়াও যে জলের কণা এরোসল গঠনে সাহায্য করে তাদেরও সহায়তা নেয় তারা। এইভাবে আঠার মতো ধুলিকণার গায়ে লেগে উড়ে চলে আসে এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে এই সব এরোসল নাকি সাহারা মরুভূমির বুক থেকে উড়ে আসছে। এমনকি স্পেনে বসে যে ইবেরুলিটেসের পরীক্ষা করা হয়েছে তাতেও নাকি সাহারার বালিকণা পাওয়া গেছে। গবেষকদের আশঙ্কা যে সারা বিশ্বজুড়ে এভাবেই অনেক মারণরোগ কোনো মনুষ্যপরিভ ছাড়াই ছড়িয়ে পরছে।