দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কোনো কল্পবিজ্ঞান সিনেমার প্লট নয় বা আজগুবি গল্প নয়। ভিনগ্রহ থেকে সংকেতের খবর জানিয়েছে নেদারল্যান্ডের কর্নেল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ইউনিভার্সিটির মহাকাশবিজ্ঞানী জেক টার্নার যে এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি এই খবরের সত্যতা বিচার করে বলেছেন যে, ৫১ আলোকবর্ষ দূরের এক নক্ষত্রমণ্ডল থেকে রেডিও সংকেত পাওয়া গেছে।
তারা টাউ বুটস্ নামের এক নক্ষত্রমন্ডল থেকে এই রেডিওবার্তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে। মূলত নেদ্যারল্যান্ডে রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্য এই মহাকাশবিজ্ঞানীরা এক্সোপ্ল্যানেট সম্পর্কে খোঁজখবর চালাচ্ছিল। আর এই অনুসন্ধানের মধ্যেই রেডিও বার্তা এসে পৌঁছেছে। এই টাউ বুটস্ নক্ষত্রমণ্ডলীতেও একটি এক্সোপ্ল্যানেট আছে বলে দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই এক্সোপ্ল্যানেট কি? সেই প্রশ্নের এককথায় সহজ উত্তর হল যে কিছু কিছু সৌরজগতে একটি কি দুটি বৃহদাকার, দৈত্যাকার গ্রহ থাকে তাদেরই এক্সোপ্ল্যানেট বলে। যেমন আমাদের সৌরজগতে বৃহস্পতি। এবার যে গ্রহটি থেকে রেডিও এমিসন এসেছে সেটি কিন্তু টাউ বুটসের এক্সোপ্ল্যানেট। এই সকল এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান মিলেছে নাসার কেপলার টেলিস্কোপের মাধ্যমে।
আরো পড়ুনঃ সামান্য হাওয়া থেকে জল তৈরির উপায় বার করল আইআইটি গুয়াহাটির গবেষক
২০১৬-২০১৭ সালে বিজ্ঞানীরা লোয়ার ফ্রিকোয়েন্সি অ্যারে তৈরি করেছিল। কেবলমাত্র এই টাউ বুটস্ বি এক্সোপ্ল্যানেট সম্পর্কে গবেষণার উদ্দেশে, তারপর উপসাইলন আন্দ্রোমেদাই নক্ষত্রমণ্ডল থেকেও রেডিও বার্তা আসে কিন্তু তা ছিল অতি ক্ষীন, তা টাউ বুটসের এত জোরালো ছিল না। অবশ্য বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবী যে এইসব বার্তা আসলে যে চুম্বকীয় বলয় আছে সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে, আর তা মহাবিশ্বে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসছে অন্যত্র। তবে বহির্বিশ্ব সম্পর্কে গবেষণায় এটি এক সামান্য তথ্য ও গবেষণার সূচনা বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, এখনো দীর্ঘ সময় ও অনেক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাবে যে এইসব রেডিও বার্তার উৎসমূল কি। টার্নারের দলের এই গবেষণা লিখিত আকারে জার্নাল অব অ্যাস্ট্রোনমি এন্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে প্রকাশিত হয়েছে।