দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ এই করোনা আবহে আমেরিকায় আবার নাইগলেরিয়া ফোলারি নামের একটি মারাত্মক মস্তিষ্কনাশক অ্যামিবা ধীরে ধীরে দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ধীরে ধীরে উত্তরে অগ্রসর হচ্ছে।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) প্রকাশ করেছে যে এই সব কেসের ভৌগলিক পরিসীমা উত্তরদিকে সরে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যপশ্চিমের রাজ্যগুলিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি কেস বাড়ছে। নাইগলেরিয়া ফোলারি সাধারণত হ্রদ এবং নদী সহ বিশুদ্ধ জলাশয়ে আশ্রয় নিচ্ছে, সেসব জায়গা যেখানে মানুষদের বসবাস নিকটে। যখন এই অ্যামিবা দ্বারা সেইসব ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছে যারা সাধারণত আক্রান্ত জলেতে সাঁতার বা ডাইভিং করে, জলে বাসকারী এই অ্যামিবা যা নাকি একক অভিযোজিত কোষ তা নাক থেকে মস্তিষ্কে ঢুকে যায়।
আরো পড়ুনঃ Give me some sunshine: লাদাখের বুকে এক নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাস্তবের র্যাঞ্চো – ইন্দ্রনীল হালদার
এটি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামেবিক মেইনগোএনসেফ্যালাইটিস (প্যাম) নামে পরিচিত বিস্ময়কর মানসিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যা প্রাণঘাতী। যখন কোন ব্যক্তির নাক থেকে জলে সরে যায় তখনই এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, ঐ জলই যা প্রাণীটিকে অলফ্যাক্টরি স্নায়ুর মাধ্যমে সেরিব্রুমে প্রবেশ করতে দেয় (আপনার গন্ধের অনুভূতির জন্য দায়ী যে অংশ) এবং মস্তিষ্কের টিস্যু ধ্বংস করে দেয়। যেহেতু এন. ফোলারি উষ্ণজলে বিকশিত হয়, যার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১১৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত হয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা যে এটা সম্ভব হচ্ছে বিশ্বায়নের জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বিনোদনমূলক জল প্রস্তুতকারী এক সংস্থার সঙ্গে যুক্তভাবে এন. ফোলারির ৮৫টি স্যাম্পেলের সমষ্টিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যা তদন্তের জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এখনো অবধি ৭৪টি কেসের সন্ধান পাওয়া গেছে আমেরিকায়। মিনেসোটা, কানসাস এবং ইন্ডিয়ানা সহ মধ্যপশ্চিমে ছয়জনের মধ্যে এই মারণরোগ পাওয়া গেছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০১০ সালের পর এই ঘটনা আবার ঘটতে দেখা যাচ্ছে। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক দশ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৩৪টি ঘটনার কথা জানা গেছিল। ১৯৭৮ সালের সিডিসি তথ্য পরিদর্শন করে এই পরীক্ষায় দেখা গেছে যে নতুন কেস প্রতি বছর প্রায় ৮.২ মাইল করে উত্তরদিকে সরে যায়।