দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আমাদের এই আকাশগঙ্গাতে যে এলিয়েন সভ্যতা থাকতে পারে এমন বিশ্বাস এখনো আমাদের ঘিরেই আছে। কিন্তু একটি নতুন গবেষণা অনুসারে একটি শক্তিশালী সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যাতে মনে করা হচ্ছে সেই সভ্যতার অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং তাদের এই ধ্বংসের কারণ তাদের নিজস্ব অগ্রগতি।
এরকম বিবৃতিটি এসেছে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং সান্তিয়াগো হাই স্কুলের গবেষকদের কাছ থেকে, যারা একটি সমীকরণের আপডেটেড সংস্করণ ব্যবহার করে দেখেছে যে বহির্বিশ্বের জীবন যাদের আমরা এলিয়েন বলি তাদের সম্ভাব্য অস্তিত্ব ছিল হয় প্রায় আশি লক্ষ আলোকবর্ষ পরে।
এই ফলাফলের সাথে, দলটি এই ধারণা অন্তর্ভুক্ত করে যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি অনিবার্যভাবে সভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় এবং যেহেতু মানুষ এখনো আমাদের গ্রহের বাইরে যোগাযোগ করতে পারেনি তাই এই অনুমান করা যায় যে বহির্বিশ্বের জীব বলে যাদের ধরা হয় তারা আর আজ নেই।
আরো পড়ুনঃ ‘স্বপ্নের নীড়’ তৈরি করবে স্বয়ংক্রিয় রোবট, দেশের মাটিতেই তৈরি হবে ৬ কোটি বাড়ি!
গবেষকরা আরও লক্ষ্য করেছেন যে যদি ছায়াপথের অন্য কোথাও এলিয়েন থেকে থাকে, তাহলে তারা ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে পারে না’ কারণ তারা পৃথিবী থেকে অনেক দূরে। এই গবেষণার জন্য, দলটি ১৯৬১ সালের ড্রেক সমীকরণ আপডেট করে, যা ডঃ ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক তৈরি করেছিলেন আমাদের ব্রহ্মাণ্ডে সক্রিয় ও যোগাযোগমূলক বহিঃস্থ সভ্যতার সংখ্যা অনুমান করার জন্য।
যাইহোক, নতুন গবেষণাপত্র অনুসারে, পুরাতন সংস্করণ সুপারনোভা এবং বহির্গ্রহ আবিষ্কারের মত আমাদের ছায়াপথের ক্রমবর্ধমান নক্ষত্রবৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে না। ক্যালিফোর্ণিয়ার এই দলটি প্রাক-জৈবিক অবস্থায় জীবনের সম্ভাবনা, জৈবিক বিবর্তনের জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য টাইমস্কেল এবং জটিল জীবনের আত্মধ্বংসের সম্ভাবনাও পর্যবেক্ষণ করে। তাদের মতে, ‘এই মডেল ব্যবহার করে, যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ছায়াপথের যৌগিক জীবনের পরিমাণ কতটা পরিবর্তিত হয় তা মূল্যায়ন করি, তাহলে জীবনের উৎপত্তি, বিরল আর্থ হাইপোথিসিস সম্পর্কে আমাদের আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। জৈবিক বিবর্তনের টাইমস্কেল মূলত পৃথিবীর বৌদ্ধিক প্রজাতির অনুরূপ বলে ধারণা করা হয়।
গবেষকরা নির্ধারণ করেছেন যে যদি এলিয়েনদের অস্তিত্ব থাকে, তারা ছায়াপথ কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৩,০০০ আলোকবর্ষ দূরে, অন্যদিকে পৃথিবী এবং সৌরজগত প্রায় ২৫,০০০ আলোকবর্ষ দূরে।