দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা বছর, আর তারপরই প্রথম চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন কোনো মহিলা। ইতিহাসের সময়ের ধারাপাতটি খেয়াল করলে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর ২০২৪ সালে চাঁদের মাটিতে পা রাখবেন দু’জন মানুষ। যাদের মধ্যে এবার একজন মহিলা মহাকাশচারীও আছেন।
সপ্তাহব্যাপী এই চন্দ্র অভিযানে মূলত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই বিচরণ করবেন তাঁরা। নাসা ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চন্দ্র অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন।
নাসা সূত্রে খবর, সাত দিন ব্যাপি এই দুই মহাকাশচারী চাঁদের মাটিতে নুড়ি-পাথর পরীক্ষা তথা নানা ধরণের গবেষণা চালাবেন। উল্লেখ্য, আর কিছু দশকের মধ্যে মঙ্গলেও পাড়ি দেবার জন্য প্রাথমিক গবেষণা ও প্রস্তুতি শুরু হবে।


নাসা এই চন্দ্রাভিযানের নাম রেখেছে ‘দ্যা আর্টেমিস মিশন’। যদিও এই অভিযানে কোন দুজন মহাকাশে পাড়ি দেবেন তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি নাসার তরফে। তাদের এই চন্দ্র অভিযান প্রোজেক্ট নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন নাসা।
নাসার প্রশাসনিক প্রধান ব্রিডেনস্টাইন বলেছেন, ‘‘আমাদের আসন্ন আর্টেমিস মিশন নিয়ে কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই সার্বিক অনুমোদন আমরা পেয়ে গিয়েছি। চাঁদ আবার আমেরিকার নাগালে পৌঁছতে চলছে এই একুশ শতকেই। এবার আমরা চাঁদে যাচ্ছি বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, পৃথিবীতে তাদের অর্থনৈতিক সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে।”
উল্লেখ্য, নাসা তার এই চন্দ্র অভিযান প্রোজেক্টে ব্যবহার করতে চলেছে অত্যন্ত শক্তিশালী ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এবং মহাকাশযান ওরিয়ন। শীঘ্রই করা হবে ওই ইঞ্জিনগুলির হট্ ফায়ার টেস্টও। বাড়তি সুরক্ষার জন্য থাকবে মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা।
নাসা তাদের আর্টেমিস অভিযানকে ৪ টি পর্যায়ে ভাগ করেছে। যথা, ‘আর্টেমিস-১’ মহাকাশতারীবিহীন এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হবে আগামী বছর। তার দু’বছর পর ২০২৩-এ হবে ‘আর্টেমিস-২’ মিশন। তাতে মহাকাশযানে থাকবেন এক মহাকাশচারী। তবে তিনি মহাকাশযান থেকে বেরবেন না। এর পরবর্তী হল আর্টেমিস-৩ অভিযান। এতে ওরিয়ন মহাকাশযান থেকে চাঁদের মাটিতে নামার পরীক্ষানিরীক্ষা চলবে।এবং অবশেষে আর্টেমিস-৪ অভিযান। যা অবস্থান করবে আড়াই লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে থাকা চাঁদের কক্ষপথে।