দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বৃহস্পতিবার, ভারতীয় সময় অনুসারে বিকেল পৌনে পাঁচটা -য় পৃথিবীর একেবারে কান ঘেঁষে বেরোবে এক গ্রহানু। নাম ‘২০২০ এসডব্লিউ’। নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির ‘সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ’-এর অধিকর্তা পল কোডাস বলেছেন,”এমন ধরণের ছোটখাটো গ্রহাণু প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পৃথিবীর কাছে পিঠে। এদের বলা হয় নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস। নিজের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় সেই কাছে পিঠের মুলুক থেকে বছরে বেশ কয়েক বার বহু গ্রহাণু এই ভাবে এসে পড়ে পৃথিবীর কাছাকাছি। তাদের মধ্যে বছরে একটা কি দু’টোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আমাদের বায়ুমণ্ডলের”।
আজ বিকেলে পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে একটা গ্রহাণু বা ‘অ্যাস্টারয়েড’। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যারিজোনায় নাসার ক্যাটলিন স্কাই সার্ভে অব জারভেটরি এই গ্রহাণুটির প্রথম হদিশ পায়। এই গ্রহাণুটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৩ হাজার মাইল বা ২২ হাজার কিলোমিটার সহ দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপর থাকবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে থাকা ভূ-সমলয় উপগ্রহ (জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট)গুলি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি ২২ হাজার মাইল বা ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে রয়েছে যার ফলে নাসার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই গ্রহাণুটি আগামী কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভূ-সমলয় উপগ্রহগুলি যেখানে রয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তার অর্ধেক উচ্চতায় পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে।


গ্রহাণুটি সম্পর্কে যা যা জানা গিয়েছে তা হলো, এই গ্রহাণুটির ঔজ্জ্বল্য চওড়ায় বড়জোর ১৫ থেকে ৩০ ফুট বা ৫ থেকে ১০ মিটার হবে। যার চেহারাটা একটি ছোট স্কুলবাসের মতো। এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,’মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝখানে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ বা ‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’ থেকে কিন্তু আসেনি এই গ্রহাণুটি। এসেছে পৃথিবীর অনেক কাছেপিঠের এলাকা থেকে। তাই এদের নাম নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট বা এনইও’।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ‘গ্রহাণুটির যা গতিপথ তাতে পৃথিবীকে ধাক্কা মারার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যদি তা থাকতও তা হলেও আকারে খুবই ছোট বলে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হতো না আমাদের। আমাদের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা জ্বলে-পুড়ে গিয়ে একটা উজ্জ্বল উল্কার মতো হতো বড়জোর। বা একটা আগুনের গোলা। তার ফলে পরে উল্কাবৃষ্টির ঘটনাও ঘটতে পারতো’। তবে জানা গিয়েছে যে,একুশ (২১) বছর পর অর্থাৎ ২০৪১সালে এই গ্রহাণুটি আবার পৃথিবীর কাছাকাছি ফিরে আসলেও তখন পৃথিবীর এতটা কাছে আসবে না।