29 C
Kolkata
Monday, March 27, 2023
More

    শামুকখোলের ‘বাসা’ রক্ষা করতে অভিনব উপায় অবলম্বন বাংলাদেশের হাইকোর্ট এর

    দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শামুকখোল, আমাদের অভিভক্ত বাংলার জীব বৈচিত্র্য’র একটি অন্যতম উপাদান। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের এক আমবাগানে পাঁচ বছর ধরে বাসা বাঁধছে শামুকখোল। নভেম্বর শেষে এই পাখিরা চলে যায় আবার এপ্রিল মাসে আসতে শুরু করে। দেখা যাচ্ছিল ঘুরেফিরে তারা ওই একটি বাগানেই আশ্রয় নেয়। আর পাখিদের কারণে গাছে আম হচ্ছে না, গাছও মরে যাচ্ছে।

    তাই গত বছর পাখিগুলোকে তাড়িয়ে দিচ্ছিলেন বাগান মালিকেরা। বাংলাদেশ গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর পাখির আবাস রক্ষা করতে হাইকোর্ট রুল জারি করে। বন্যপ্রাণী বিভাগকে নিয়ে র‌্যাবও (RAB) পাখির আবাস রক্ষা করে। এর পাশাপাশি আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়।

    অবশেষে সেই বাগান মালিকেরা অতিথি পাখির ‘বাসা ভাড়া’ হিসেবে নগদ অর্থ পেতে চলেছেন । গত ১ নভেম্বর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বন অধিদপ্তরের অনুন্নয়ন খাত থেকে মোট পাঁচজন বাগান মালিককে পাখির বাসার জন্য মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ইজারা বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    বনবিভাগ সূত্রে খবর, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাত থেকে বন অধিদপ্তরকে খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে পাঁচজন আমবাগান মালিক এই বরাদ্দ পাচ্ছেন তারা হলেন- খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের মঞ্জুর রহমান, সানার উদ্দিন, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও ফারুক আনোয়ার।

    শনিবার সকালে পাখির অবস্থা দেখতে বাগানে যান বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জিল্লুর রহমান, রাজশাহী সামাজিক বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মেহেদী হাসান, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাহাত হোসেন, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার হেলিম রায়হান ও বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর। এ সময় তারা বাগান মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    গতকাল রোববার সকালে ওই বাগানে দেখা যায় শত শত শামুকখোল পাখির। বাগানে গাছের মালিকেরাও ছিলেন। তারা জানান, তাদের নামে পাখির বাসার জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে শুনেছেন। তবে এখনও হাতে পাননি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমবাগানের মালিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা দেয়া হবে। তবে তারাও কখনো মন থেকে চাননি এই পাখি গুলোকে তাড়িয়ে দিতে কিন্তু রুটি রুজির কারণে বাধ্য হয়েছিলেন। এখন সরকার দায়িত্ব নেওয়াতে তার যথেষ্ট আনন্দিত।

    Related Posts

    Comments

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    সেরা পছন্দ

    মাঝে মাঝেই জ্বরে ভুগছেন ? মুক্তি পেতে ভরসা রাখুন হোমিওপ্যাথিতে

    দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : জ্বরের অনেক কারণ থাকতে পারে তৎসহ জ্বরের বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। নীচে জ্বরের উপসর্গ অনুযায়ী...

    ৩রা এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার !

    দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর। এবার মহাবীর জয়ন্তীতেও ছুটি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শনিবার...

    কবে শুরু হচ্ছে ICC ক্রিকেট বিশ্বকাপ ? দেখুন সম্পূর্ণ সময়সূচি

    দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : গোটা বিশ্বের ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য একটি সুখবর ইতিমধ্যেই জানতে পারা গিয়েছে। চলতি বছর...

    বাড়ছে গরমের প্রকোপ ! সপ্তাহ শেষে নামবে বৃষ্টি

    দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : পশ্চিমী অক্ষরেখার প্রভাবে বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে বাংলায়। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই বাংলার উপর...

    ঋতু পরিবর্তনে সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে জেরবার , সম্পূর্ণ মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

    দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, অ‌্যাজমার পাশাপাশি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকিও...