দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ সুনীলের কবিতায় আমরা মানুষের পাহাড় কেনার শখের কথা শুনেছিলাম। সুনীল লিখেছিল যে “পাহাড়ের দাম সে জানে না, তাই পাহাড় কেনাও যায় না।” মানুষের আদিম বসবাস এই সমতল তৈরির অনেক আগে ছিল সেই পাহাড়ের গুহায়। গুহাবাসী মানুষের সংসার-প্রতিদিন আঁকা রয়েছে সেই পাহাড় চূড়োয়। আর আজ আমরা বারবার সব বাধা উপেক্ষা করে ছুটে যাই পাহাড়ে। কখনো হিমালয় কখনো ছোটনাগপুরের ন্যাড়ামাথা চূড়োগুলোতে। কখনো বাধা পেরোনোর আশায় কখনো নিছক হারিয়ে যাবার ইচ্ছেয়। আজ সেই পাহাড়ের দিন, আন্তর্জাতিক মাউন্টেন ডে।




রাষ্ট্রপুঞ্জ এবার তাদের থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘মাউন্টেন্স বায়ডাইভার্সিটি’কে। অর্থাৎ এই পাহাড় আর তার উপত্যকা জুড়ে যে গাছগাছালি আর তার প্রাণী সংগম তাকে বাঁচিয়ে রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের আওতায় এখন পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তের সবুজ জীবন। মানুষের প্রচন্ড ব্যস্ত জীবনযাত্রা আঘাত হেনেছে পাহাড়ের বুকে। তাই তাকে বাঁচানোর ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
আরো পড়ুনঃ শীতের শুরুতেই হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির ভীড়ে সেজে উঠেছে ভিতরকানিকা জাতীয় উদ্যান
অবৈধ কৃষিকাজ, বনজঙ্গল কাটা, পশু শিকার, প্লাস্টিক ব্যবহার সঙ্গে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এখন এই বিশাল বন্যপ্রাণের মূল বিপদ। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের এসবের বিরুদ্ধে একজোট হতে বলেছে। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু জরুরি তথ্য পেশ করা হয়েছে যাতে পাহাড় নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীপৃষ্ঠের ২৭% জমি ঘিরে আছে এই পাহাড়-পর্বত। বিশ্বের যত জৈববৈচিত্রমূলক হটস্পট আছে তার অর্ধেক কিন্তু এই পাহাড় আর তার উপত্যকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে তা নাকি গোটা পৃথিবীর ৩০%, সঙ্গে এই বনানী থেকে এমন কিছু গাছগাছালি পাওয়া যায় যা আমাদের জীবনদায়ী ওষুধের একমাত্র প্রাপ্তিস্থান।


আমাদের দেশে পাহাড়-পর্বত ঘেরা জায়গাগুলিই যেমন আমাদের প্রয়োজনীয়তা মেটায় তেমনি এক বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আসে যা পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই আজকের দিনে শপথ হোক ‘পাহাড় বাঁচুক, জীবন বাঁচুক’।

