দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সারা বছর পাওয়া যায় এমন সবজির মধ্যে বেগুন একটি। এর আকার-আকৃতি হয় নানা রকম। কোনটি দেখতে লম্বাটে, কোনোটি গোলাকার (অনেকটা), কোনোটি আবার সরু। এর রঙও হয় একাধিক। বেগুনকে শীতকালীন সবজি বলা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সারা বছরই বেগুন পাওয়া যায়। দেশে বিভিন্ন জাতের বেগুন পাওয়া যায়।কিন্তু জানেন কি এই বেগুনের কত গুন?
এর প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন-এ আছে ৮৫০ মাইক্রোগ্রাম। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আমিষ ১.৮ গ্রাম, শর্করা ২.২ গ্রাম, চর্বি ২.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৫ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ৪২ কিলোক্যালরি।
বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের জন্য খুব উপকারী। এই ডিজিটাল যুগে আমাদেরকে চোখের পরিশ্রম করতে হয় খুব বেশি। এতে চোখের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বেগুন আপনার চোখ ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আরো পড়ুন:দেখে নিন রাজস্থানের জনপ্রিয় “রাজ কচোরি”র সহজ রেসিপি
বেগুনে কোলেস্টেরল বা ফ্যাট নেই। কোলেস্টেরল হলো ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় উপাদান, যা রক্তে জমে। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা কোনো রকম চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন বেগুন।
পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে বেগুন। যেকোনো ক্ষতস্থান শুকতেও সাহায্য করে।
বেগুনে আয়রনও রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শর্করার পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই ডায়াবেটিসের রোগী, হৃদ্রোগী ও অধিক ওজনসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন বেগুন।
বেগুনে রয়েছে রাইবোফ্ল্যেভিন নামক উপাদান। এই উপাদান জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব।
বেগুন ভিটামিন A, C, E এবং K সমৃদ্ধ। আর ভিটামিন C ত্বক, চুল, নখকে করে মজবুত।
দেহে রক্ত জমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে ভিটামিন E এবং K ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক।এছাড়াও বেগুনে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বেগুন খাওয়া উচিত নয়। বেগুন অনেক সময় অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়।