দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হার্ট অ্যাটাক এমন একটি গুরুতর অসুস্থতা যেখানে হৃদপিন্ডে রক্ত প্রবাহ অবরুদ্ধ হয়ে যায়, যার ফলে অক্সিজেনের পরিবহণ ব্যাহত হয় এবং হৃদয়ের পেশীগুলি অকেজ হয়ে যেতে শুরু করে।
অনেকেই কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলো জানেন না। অনেক সময় সিনেমায়, নাটকে বা ধারাবাহিককে হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুস্থতা দেখাতে গিয়ে বেক্তির বুকে ব্যাথাকে সামনে তুলে ধরা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি এই হার্ট অ্যাটাক অনেক সময়ই বুকের কাছাকাছি কোথাও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হতে পারে! শুধুমাত্র হাই তোলার মাধ্যমেও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক দেখা দিতে পারে।
সাধারণত হাই ওঠা নিদ্রাহীনতার বা ক্লান্তির লক্ষণ। তবে আপনি যদি পরিপূর্ণ ঘুমের পরে বা কোনো রকম ক্লান্তি বোধ ছাড়াই ঘনঘন হাই তুলতে থাকবেন তখন কিন্তু আপনাকে এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই হাই উঠার আসল কারণ নিয়ে নানান জল্পনা রয়েছে। তবে সাধারণভাবে বলা যায় এটি ক্লান্তি বা অনিদ্রার কারণে হতে পারে তবে এই হাই ওঠার সময় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের মাত্রার কিছু পরিবর্তন ঘটে। যার জন্যই অকারণে বেশি হাই তোলাকে বিজ্ঞানীরা মোটেই ভালো চোখে দেখেন না।
এটি বিশ্বাস করা হয় যে হাই ওঠা কোনো ভাবে নার্ভের সাথে সম্পর্কিত, যা মস্তিষ্কের নীচ থেকে হৃদপিন্ড এবং পেটের দিকে চলে। কিছু ক্ষেত্রে, যখন হার্টের চারপাশে রক্তপাত হয় তখন বেশি হাই ওঠার ফলে আপনি স্ট্রোকেরও স্বীকার হতে পারেন।
এছাড়াও যদি গরমকালে আপনার শরীরচর্চারর পরে বা শারীরিকভাবে খাটাখাটনির ফলে ঘনঘন হাই উঠতে থাকে তাহলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
অকারনে প্রচুর হাই তোলা যে শুধুমাত্র স্ট্রোকের বা হার্ট অ্যাটাকেরই লক্ষণ তা কিন্তু নয়। জেনে নিন এর ফলে আরও কি কি হতে পারে।মস্তিষ্কের টিউমার, মৃগী, যকৃতের অকার্যকারিতা, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষমতা-র মতো অসুস্থতার শিকার হতে পারেন। তাই অতিরিক্ত হাই ওঠাকে কখনও তাচ্ছিল্য করবেন না। এই সামান্য হাই ওঠাই আপনার জীবনে সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনতে পারে।