দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অনেকেই বাড়তি ওজন নিয়ে সমস্যায় থাকেন। কারণ একাধিক রোগের সূত্রপাত হয় এখান থেকে। হার্টের সমস্যা নানান সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ-সহ একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীরে। শরীরের মেটাবলিজমের উপরে নির্ভর করে মেদ বাড়ে যাওয়া বা তার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া। ওজন কমাতে মেটাবলিজমের দিকে যেমন দেখতে হয়, তেমনই খাবারের দিকেও নজর দিতে হয়।
ওজন বেড়ে গেলে সাধারণত ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু, সমস্ত ফ্যাট জাতীয় খাবারই খারাপ নয়। শরীরের জন্য ডায়াটরি ফ্যাটও প্রয়োজন হয়। এমনকি তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। ওজন কমানোর সাথে সাথে নিজেকে সুন্দর ও সতেজ রাখতে ফ্যাট জাতীয় খাবার হলেও আপনার ডায়েটের প্লেটে রাখতে পারেন এইগুলো:
ডিম:
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটা খান। কারণ, ডিমের কুসুমে ফ্যাট থাকে অনেক বেশি। আর ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। কিন্তু ডিমের কুসুমে যে ফ্যাট তা শরীরকে সুস্থ রাখে। ফলে ওজন কমাতে চাইলেও গোটা ডিমই খাওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুন:আলিগড়কে মিনি-ভারত বলে সাম্প্রদায়িক হিংসার অন্য গল্প শোনালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
বড় ধরনের মাছ:
ওজন বাড়তে থাকলে অনেকেই বড় বা তেলযুক্ত মাছ খাওয়া ছেড়ে দেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, সব বড় মাছেই ওজন বাড়ে, এমন কিন্তু নয়। স্যামন, সারডিনস, ম্যাকারেলের মতো মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর প্রোটিনও যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। যা হার্ট ভালো রাখে ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডার্ক চকোলেট:
চকোলেট খাওয়া মানেই মোটা হয়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া। তবে, ডার্ক চকোলেটের ক্ষেত্রে এ ধারণা মেলে না। ডার্ক চকোলেটে কোকো বাটার থাকে যা খেলে অনেক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। এতে হেলদি ফ্যাট থাকে। থাকে কপার আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুব সাহায্য করে।
নারকেল:
নারকেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, এতে থাকা লরিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়ার (Bacteria) বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। এবং ওজনও কমায়।
অ্যাভোকাডো:
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি থাকে প্রোটিন ও হাই ফাইবারও। এটিও খেলে পেট অনেক্ষণ ভর্তিও থাকে।