দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাঙালীর গরম ভাতে অন্যতম উপকরণ হল ঘি। অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার হোক বা বর্ষার খিচুড়িতে ঘি চলে সর্বত্রই। বাঙালীর রান্নাঘরে ঘি থাকবেই। একফোঁটা ঘি আনতে পারে দারুণ স্বাদ। আবার পূজো-আচ্ছাতেও ঘি-এর ভূমিকা অনেক। তবে খাওয়াদাওয়াতেই শুধু নয়। তবে জানেন কি, ত্বক ও চুলের জন্যও ঘি কিন্তু খুব উপকারী।
এবার জেনে নিন আপনার সৌন্দর্য রক্ষায় ঘি-এর কি কি ভূমিকা:
ত্বকের রুক্ষতা কাটাতে: ঘি-তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, E ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভাল ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই ভাল। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে ঘি রক্ষা করে। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে অনেক সময়ে চুলকুনির সমস্যা হয়। তখন ত্বকে ঘি লাগিয়ে নিতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে:ময়েশ্চরাইজার হিসেবেও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। রাতে মুখ পরিষ্কার করার পরে ঘি দিয়ে ২-৩ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। ঘুমনোর আগে কটন প্যাড দিয়ে মুছে নিন। আপনার ত্বকে জেল্লা দেবে।
আরো পড়ুন: আপনার কি অতিরিক্ত হাই ওঠে? তাহলে আপনারও হতে পারে হার্ট অ্যাটাক!
ঠোঁট কোমল ও সুন্দর রাখতে: যাঁদের অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটে, তারা ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে হালকা ঘি লাগিয়ে শুতে যান। আপনার ঠোঁট সুন্দর ও কোমল থাকবে।
আইক্রিম হিসেবে: বাজারে বিভিন্ন রকমের আইক্রিম বিক্রি হয়। রাতে মুখ পরিষ্কার করার পরে আইক্রিম হিসেবে ঘি-ও ব্যবহার করতে পারেন। এতে বলিরেখা ও চোখের তলার কালি চলে যায়।
ফেসপ্যাক হিসেবে:মধু ও দই, ৩ চামচ ওটসের সঙ্গে নিয়ে তাতে ঘি মেশান। এই মিশ্রণ ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার ত্বকে জেল্লা আসবে।
চুলের যত্নে: ঘি দিয়ে মাস্কও তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। ভাল করে সারা মাথায় মাখুন। এবারে একটি গরম তোয়ালে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত ঘি অ্যাবসর্ব করে নেবে এই তোয়ালে। এতে চুলে জেল্লা আসে সহজেই।