দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: উষ্কখুষ্ক চুলকে টানটান মসৃণ করতে কে না চায়? চুল সোজা মসৃণ হলে একটা অন্যরকম সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে পার্লার থেকে বা হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে চুল হয়তো সাময়িক ভাবে সোজা ও মসৃণ হবে তবে এইগুলো ব্যবহার করলে আপনার চুল উঠে যেতে পারে, চুলের যে আসল ধর্ম সেটা নষ্ট হয়ে যায় তারপরে আবারও আপনার অমসৃণ চুল ফিরে আসে। তবে আর এসব ঝামেলার দরকার নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এবার আপনার চুলকে সোজা ও মসৃণ করুন। জেনে নিন কিভাবে:
নারকেল দুধ এবং লেবু:
নারকেলের দুধে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটিকে কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই দরকার চুল সোজা করার জন্য। পুরো চুলে এটি লাগিয়ে নিন এমনকি স্কাল্পেও লাগাবেন। ১৫-২০ মিনিট ধরে চুলকে স্টিম করুন। সব শেষে ধুয়ে ফেলুন সমস্ত চুল। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আপনি ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে।
সেলেরি বা রাধুনী শাক:
কয়েকটি ফ্রেশ সেলেরি পাতা বা রাধুনী শাক কেটে গুড়ো করে নিন এবং জলে মিশিয়ে দিন।তারপর মিশ্রণটি বোতলে করে রাখুন ১ দিন। এতে পাতার ভেতর চুল সোজা করার যে যে উপাদান আছে সব ভালো ভাবে মিশে যাবে। প্রতিদিন স্নানের আগে স্ক্যাল্পে এই সলিউশন লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন তারপর শাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন:আপনি কি পাকা চুল নিয়ে নাজেহাল? নিমেষে চুল কালো করুন এই ঘরোয়া টোটকায়
ক্যাস্টর অয়েল:
ক্যাস্টর অয়েল এ আছে চুল সোজা করার গুনাগুণ। এই তেল চুলের স্কাল্পে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে সোজা ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে।
মধু এবং দুধ:
এই কম্বিশন শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্য-ও ম্যাজিকের মত কাজ করে। এক চামচ মধুর সাথে এক কাপ দুধ মেশান। এই পেস্ট ২-৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো করে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন সিল্কি , স্টেইট চুলের জন্য।
মুলতানি মাটি, ডিম ও চালের গুঁড়োর মিশ্রণ:
এক কাপ মুলতানি মাটির সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ, দু চামচ চালের গুঁড়ো আর জল মেশান। মিশ্রণটি বেশ পাতলা হতে হবে যাতে সমস্ত চুলে দেওয়া যায়। চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখুন আর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে থাকুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার কোঁকড়া চুল সোজা হয়ে আসছে।