দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :- বর্তমান সময়ে ভুল খাওয়ার কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হল সেই সমস্যা যখন আপনার লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে। যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন, তারা ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। যদিও এমন নয় যে শুধুমাত্র যারা মদ পান করেন তাদের এই সমস্যা হয়, অন্যরাও এই সমস্যায় পড়েছেন। ফ্যাটি লিভার ফুলে যায় এবং প্রচুর ব্যথা করে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অনেক সময় এই সমস্যা মারাত্মক রূপ নেয় এবং এমন পরিস্থিতিতে অবহেলার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আমরা আপনাকে বলি যে ফ্যাটি লিভারও আয়ুর্বেদের সাহায্যে চিকিৎসা করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই আয়ুর্বেদিক প্রতিকারগুলো কী কী।
1) অ্যালোভেরা:- অ্যালোভেরা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। যাদের ফ্যাটি লিভার আছে তাদের জন্য অ্যালোভেরা খুবই ভালো। অ্যালোভেরা হল একটি প্রাকৃতিক রক্ত পরিশোধক যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। অ্যালোভেরার জুস পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চা চামচ অ্যালোভেরার রস খেতে পারেন।
2) আমলা:- আমলা বাজারে সহজেই পাওয়া যায়, এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এতে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। আমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা হজম এবং লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্য উপকারী।আমলা খেলে শরীরে উপস্থিত টক্সিন দূর হয় এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। দুর্বল হজম ও লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় আমলা খাওয়া খুবই উপকারী। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সারাতে সকালে খালি পেটে আমলার রস খান।
3) গিলয়:- গিলয় এমনই একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা অনেক গুরুতর সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যাদের লিভার সংক্রান্ত সমস্যা আছে তাদের জন্য গিলয় খুবই কার্যকরী। ব্যাখ্যা করুন যে গিলয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এক চা চামচ গরম পানিতে মিশিয়ে গিলয় পান করতে পারেন। এটি নিয়মিত করলে আপনার ফ্যাটি লিভার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষাগত এবং তথ্যগত উদ্দেশ্যে। কোনো প্রতিকার বা প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।