দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাঙালি জীবনে বনেদিয়ানা হোক বা নেশা, পুজো হোক বা পেশা সবুজ রঙের পাতলা পানের বিকল্প নেই। হিন্দুশাস্ত্র মতে পান সুপারি ছাড়া যেকোনো পুজাই অসম্পূর্ণ। তবে খাওয়া
বা পুজো ছাড়াও পান পাতার মহিমা অপার। কিছু প্রচলিত সাত্ত্বিক পন্থা রয়েছে আছে, যা অনুসরণে পান আপনার জীবনে অর্থ লাভের সুখবর বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
জীবনে যদি সমস্যা থেকে মুক্তি’র পথ খুঁজে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সেই মুক্তির পথ পেতে গণেশের পুজোয় পানের ব্যবহার করুন। প্রচেষ্টা-পরিশ্রম সত্ত্বেও কাজে সাফল্য না-পেলে প্রতি বুধবার গণেশ এর সামনে পানের সঙ্গে সুপুরি ও এলাচ অর্পণ করুন। এই আচার পালনে যাবতীয় বাধা দূর হয় ও অসুম্পূর্ণ কাজ সম্পুর্ণ হয়।
নারকেলের সাথে পানের ব্যবহার শুভ ফলদায়ক। জীবনের নানান সমস্যাতে জর্জরিত থাকলে, মঙ্গলবার বা শনিবার হনুমান ঠাকুরের সামনে মিষ্টি পান অর্পণ করুন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানের সামনে মিষ্টি পান অর্পণ করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় ও সুখ-সমৃদ্ধি’র পথ খুঁজে পাওয়া যায়।


যেকোনো ব্যবসায়ে সাফল্যের জন্য প্রতি শনিবার পাঁচটি অশ্বত্থ পাতা ও পাঁচটি পান পাতাকে একই সুতোয় গেঁথে নিজের অফিস বা দোকানের পূর্ব দিকের দরজা বা ফ্রেমে টাঙিয়ে দিন। ব্যবসায়ে উন্নতি তরান্নিত হবে।
শুভ কাজে বা কোনো বিশেষ কাজের সাফল্যের জন্যে পানের পাতা পকেটে বা হাত ব্যাগে রেখে বেড়োন। শাস্ত্র বলছে পান অশুভ শক্তিকে দূরে দেয় ফলে কাজে সাফল্য লাভ সম্ভব।
তবে মনে রাখবেন পানের ব্যবহার বুধবার থেকে অনুসরণ করাই শ্রেয়। যেহেতু বুধবার সিদ্ধিদাতা গণেশের দিন। আর গণেশ যেহেতু সবার আগে পূজিত হন, তাই বুধবার অনুসরণ শুরু করা উচিত। এছাড়াও কথিত আছে বুধবার পান খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়তে সহায়তা করে। তবে মনে রাখবেন চুন বা জর্দা ব্যবহার করবেন না। শুধু পান। সুপুরীও ব্যবহার করতে পারেন।