দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গরিব থেকে ধনি সকলেই ধনতেরাসের এই দিনটায় ঘরে কিছু না কিছু কিনে নিয়ে যান৷ কারণ মান্যতা রয়েছে যে এই শুভ দিনে ঘরে কিছু কিনে নিয়ে গেলে নাকি সারা বছর ধনবৃদ্ধি হতে থাকে পরিবারে। এই ধনতেরাসের পরেই ঘরে ঘরে আসেন মা লক্ষ্মী। এই দিনের পরের দিনই হয় দীপাবলি। অনেকে মনে করেন এই দিনটিতেই সোনা, রুপো ও বাসন কিনলে বছরভর টাকা পয়সার অভাব আসেনা। সংসারের আয় বৃদ্ধি হয়।
তবে শুধুই সোনা নয় ধনতেরাসে আরও কয়েকটি জিনিস ঘরে আনলে তা সৌভাগ্যের দরজা খুলে দিতে পারে। সেগুলি কী জানুন-
১. কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম– কোনো বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম কেনার শখ থাকলে এই দিনই কেনা সবচেয়ে বেশী শুভ। তাই এই দিনে কোনো বৈদ্যুতিন যন্ত্র কেনার শখ থাকলে তা অনায়াসেই কেনা যায়।বলা হয় পেশা অনুযায়ী সরঞ্জাম কিনলে সৌভাগ্য আসে এই দিন। আসলে কথিত আছে এই দিনই দুধের সাগর মন্থনে উঠে এসেছিলেন লক্ষ্মী। তাঁর ধনত্রয়োদশী রূপটির আরাধনা করা হয় এই দিন।


২. ধনে’র বীজ– শাস্ত্রমতে এই দিন ধনের বীজ কিনলে অত্যন্ত শুভ। লক্ষ্মীকে নিবেদন করে সেই বীজ, টাকা রাখার লকারে রাখুন।
৩. সোনা– ধনতেরাসে বাজেট বেশি থাকলে সোনা কিনতে পারেন।যদিও এটি অবাঙালি প্রথা। কিন্ত বেশ কয়েক বছর ধরেই এটা ট্রেন্ড। কিনতে পারেন গোল্ড বন্ডও।এছাড়া ধনতেরাসে রুপো বা পিতল কেনা ও শুভ।তবে রুপো বা পিতলের বাসন কিনতে তা ঘরের পূর্বদিকে রাখাটা শুভ।
৪. ঝাড়ু– ধনতেরাস উপলক্ষে ঝাড়ু কেনাকে ও শুভ বলে মনে করা হয়। ধনতেরাসের দিন যে কোনো দোকান থেকে এই ঝাড়ু কিনে, একটি ঝাড়ু যত্ন সহকারে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখবেন অর্থাৎ আপনি ছাড়া অন্য কেউ যাতে সেই ঝাড়ুর প্রকৃত অবস্থান না জানে। এবং অপর একটি ঝাড়ু দিয়ে বাড়ির সকল ধুলোবালি, নোংরা, আবর্জনা প্রতিদিন যত্ন সহকারে ঝাঁট দিয়ে বাইরে বের করে দেবেন।
তবে ধনতেরাসের দিন থেকেই এই নতুন ঝাড়ুর ব্যবহার অবশ্যই শুরু করবেন। এভাবেই প্রথম ঝাড়ু নষ্ট হয়ে গেলে তারপর সেই লুকিয়ে রাখা ঝাড়ু বের করবেন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। জ্যোতিষীদের মতে, নতুন নারকেল ঝাড়ু এই উৎসব উপলক্ষে বাড়িতে ব্যবহার করলে বাড়ির মধ্যে সকল দুশ্চিন্তা, খারাপ প্রভাব, নেগেটিভ এনার্জি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যায়।এবং বাড়ির মধ্যে পজিটিভ এনার্জি বাড়তে থাকে। এইভাবে নারকেল ঝাড়ুর মাধ্যমে বাড়ির মধ্যে থাকা অলক্ষীকে বার করে দিয়ে মা লক্ষীর আগমনের পথকে সুগম করা হয়।