দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ব্লাড ক্যানসার ও তার চিকিৎসা নিয়ে অনেকের অনেক রকম জিজ্ঞাসা থাকে। অনেক ভুল ধারণা, মিথ্যা, গুজবও থাকে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ের অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও জানতে চান রোগটি নিয়ে। এই লেখাটি ব্লাড ক্যানসার নিরাময়ের যোগ্য সহায়তা নিয়ে সব শ্রেণির মানুষের জন্য।
ব্লাড ক্যানসার কী?
মূলত লিউকেমিয়াকেই আমরা সাধারণভাবে ব্লাড ক্যানসার বলে থাকি। ব্লাড ক্যানসার হলো রক্ত কোষের ক্যানসার। বিশেষ করে শ্বেত রক্তকণিকার। আমাদের মানব দেহে রক্ত কোষ তৈরি হয় বোন ম্যারো বা অস্থিমজ্জায়। তৈরির পর কয়েকটি ধাপে কোষগুলো ম্যাচিউর হয়ে তারপর রক্ত প্রবাহে আসে।
কোন কারণে এই কোষগুলো অতিমাত্রায় উৎপাদিত হলে এবং সঠিকভাবে ম্যাচিউর না হলে দেখা যায় রক্তপ্রবাহে প্রচুর অপরিপক্ব রক্ত কোষ এসে ঘুর ঘুর করছে। এরা শরীরের কোনো কাজে তো আসেই না উল্টো নানারকম উপসর্গ তৈরি করে। শ্বেত রক্তকণিকাগুলোই বেশি আক্রান্ত হয়।
ব্লাড ক্যানসার কেন হয়?
এর কারণ নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। দীর্ঘদিন দীর্ঘসময় ধরে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশনে থাকলে বা জেনেটিক ভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতে ব্লাড ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া কেমিকেল বর্জ্য, রঙের কারখানা, ধূমপান, কীটনাশক ইত্যাদি এর কারণ হিসেবে কাজ করে। বিশেষ এক ধরনের ভাইরাসের কারণেও হতে পারে।
এসবের প্রভাবে শরীরের কোষাভ্যন্তরে যে জিন থাকে সেগুলোর মিউটেশন হয়, ক্রোমজমের বাহুগুলিতে কিছু ওলট-পালট হয়। তখন কোষ বিভাজনে কিছু উলটাপাল্টা সিগন্যাল যায়। ফলশ্রুতিতে রক্ত কোষ ব্যাপক হারে উৎপাদিত হয় এবং সেগুলো পরিণত না হয়েই রক্তপ্রবাহে চলে আসে।


ব্লাড ক্যানসার কী ছোঁয়াচে?
একদমই না। এটা রক্তবাহিত, যৌনবাহিত, জলবাহিত এমন কিছুই না। রোগীর সঙ্গে থাকলে, তাকে স্পর্শ করলে, খাবার খেলে, তার রক্ত গায়ে লাগলে, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে এই রোগ ছড়াবে না।
এবার জেনে নেওয়া যাক এর থেকে সেরে ওঠার উপায়ের কথা। অ্যালোপ্যাথের পাশাপাশি ভারতের নিজস্ব এক চিকিৎসা প্রথার নাম হল কবিরাজি বা ইউনানি।যদিও অনেকেই হয়তো শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে। কিন্তু সঠিকভাবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক জটিল সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারেন আপনিও।
এমনই এক আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান নাম সূর্যবেদা। প্রতিষ্ঠানের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক প্রশান্ত মাইতির চিকিৎসায় অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেকেই। ৯০ বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠান প্রথমে চালাতেন প্রশান্ত বাবুর বাবা। প্রশান্ত বাবুর মতে, “এই করোনা আবহে ইমিউনিটি বুস্ট করার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন আয়ুর্বেদিক আয়ুশ কাথ। এছাড়া যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য এর সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে ফিফাট্রল ট্যাবলেট। শুধু করোনা থেকে উপকার পেতে নয়, ব্লাড ক্যান্সার মুক্তিতেও ভীষণ কার্যকরী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা।”


এই প্রসঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম প্রশান্ত বাবুর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সেরে ওঠা বেশ কিছু রোগীর সাথে।
এদেরই একজন হালিশহরের হরতোষ মজুমদার। যিনি গত এক বছর ধরে ডাক্তারবাবুর চিকিৎসায় রয়েছেন। হরতোষবাবু জানান ,”বহুদিন যাবৎ গলব্লাডার স্টোন এবং টিউমারের সমস্যায় ভুগছিলাম আমি। এলোপ্যাথিক বিভিন্ন ওষুধ খাওয়া এবং ডাক্তার দেখানো তো চলছিলোই। শেষ পর্যন্ত ওনারা সাজেস্ট করেন আমাকে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু এই অপারেশন খুবই রিস্কএর ফলে অপারেশন টেবিলে আমার মৃত্যুও হতে পারে। সেই সময় এক প্রকার হতাশ হয়েই আমি ডাক্তার প্রশান্ত মাইতির সাথে যোগাযোগ করি। গত এক বছর ধরে ওনার চিকিৎসায় তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
এছাড়া চিকিৎসা গুনে উপকার পেয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা প্রভাত পালও। আমাদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “আমার লিউকোমিয়ার সমস্যা ছিল। মেডিকেল থেকে আমি সমস্ত রিপোর্ট করিয়েছিলাম, প্রায়ই আমাকে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়ে রক্ত বদল করতে হতো। সেই সময় আমার এক চিকিৎসক বন্ধু আমায় প্রশান্ত মাইতির ঠিকানা দেন।”
গত ১৫ বছর ধরে ওনার ওষুধ খেয়ে চলেছেন প্রভাতবাবু।এখন আমি যে শুধু সুস্থ আছি তাই নয়, আমাকে আর রক্ত বদলও করাতে হয় না।” আমরা কথা বলেছিলাম প্রশান্ত বাবুর বাবার আমল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা উপকার পেয়ে আসা তপন মজুমদারের সাথেও। তিনি আমাদের জানান “গত ৩০ বছর ধরে আমি ওনাদের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আস্থা রেখে আসছি। সেই সময় আমি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া, চোখের কোলে রক্ত জমে যাওয়া তো ছিলই এছাড়া কিছুতেই আমার জ্বর ভালো হতো না। ডাক্তারবাবু বলেন আমার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও প্রচন্ড কম। এরপরই আমি ওনাদের কাছে আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেতে শুরু করি এবং ৩০ বছর যাবত আমি সম্পূর্ণ সুস্থ।”
স্বীকৃত ডাক্তারবাবুদের কাছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করালে হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথির থেকেও অনেক ক্ষেত্রেই বেশি উপকার পেতে পারেন আপনি। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সর্তকতাও অবলম্বন করা দরকার। বরাবর সূর্যবেদা’র মত রেজিস্টার্ড আয়ুর্বেদিক ইউনানি চিকিত্সা কেন্দ্রেই চিকিত্সা নেওয়া প্রয়োজন।
সূর্যবেদা
ইউনানি ক্লিনিক
কলকাতা চেম্বার: বিডন স্ট্রীট নেতাজি সুভাষ স্পোর্টিং ক্লাব, ২৫ বি, অভেদানন্দ রোড, কলকাতা -০৬ (মাসে দুই রবিবার)
গ্রীন পার্ক (এ ব্লক)
গ্রীন ভিএ অ্যাপার্টমেন্ট এর বিপরীতে
পাল্স পোলিও সেন্টার, লেকটাউন, যশোর রোড (প্রতি রোববার ১২ টা থেকে ২ টো)
চিত্তরঞ্জন মিলন মন্দির
গেট ন ৩, বর্ধমান বাস স্ট্যান্ড, বর্ধমান ( রবিবার সকাল ৭ টা)
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্যে ফোন করুন: 9830047291 (সকাল ৯ টার পরে)