দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ঔপনিবেশিক ভারতে আয়ুর্বেদিক চিকিত্সাই ছিল শেষ কথা। কিন্তু সেই গৌরবের দিন আজ কিছু স্পা ও টিম টিম করে জ্বলা চেম্বারেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু করোনা আবহে টিকার অপ্রতুলতা আবার একবার বিশ্ব দরবারে আয়ুর্বেদ কে দাঁড় করিয়েছে স্ব-মহিমাতে। তবে করোনা কালে এতবড় সুযোগ মিলবে তা এই অধীত বিদ্যার সঙ্গে জড়িত বহু মানুষই স্বপনেও কল্পনা করতে পারে নি। এবার ‘জেনারেল সার্জারি’তেও প্রবেশাধিকার পেতে চলেছেন আয়ুর্বেদ চিকিত্সকরা, সৌজন্যে আয়ুষ মন্ত্রক।
গত কাল অর্থাত্ রবিবার আয়ুষমন্ত্রক ইন্ডিয়ান মেডিসিন সেন্ট্রাল কাউন্সিল অ্যামেন্ডমেন্ট ২০২০ সংশোধনীটি প্রকাশ্যে এনেছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে অন্তত ৫৮ টি সার্জারিতে আয়ুর্বেদ চিকিত্সকরাই অংশ নিতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে, নাক-কান-গলা, চোখ, দাঁতের অস্ত্রপচারও। উল্লেখ্য আদি আয়ুর্বেদিক চিকিস্ত্সক সুশ্রুতের ছিল শল্য চিকিত্সা ও শল্য বিষয়ে অসাধারণ পারদর্শিতা।
এই বিষয়ে আয়ুষ মন্ত্রক জানাচ্ছে,শল্য এবং শালক্য এই দুই বিদ্যায় যাতে আয়ুর্বেদের ছাত্ররা পারঙ্গম হয়ে ওঠে তাঁর জন্যে ট্রেনিংও দেওয়া হবে। এর ফলে তাঁরা রুট ক্যানাল, স্কিন ড্রাফটিং, ক্যাটারাক্ট সার্জারির মতো সাধারণ অপারেশনও করতে পারবে। আয়ুর্বেদ চিকিত্সকরা বলছেন, অতীতে বহু অস্ত্রপচারই সাফল্যের সঙ্গে করেছে এই শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা।
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রাইনোপ্লাস্টির মতো বিষয়েরও উল্লেখও রয়েছে। এই অনুমোদন মিললে হাসপাতালের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে। তবে এই দাবি মানতে নারাজ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশন। এই গেজেটকে তাঁরা জনবিরোধীও আখ্যা দিয়েছেন। অন্য দিকে কেন্দ্রর সাফাই এই নিয়ম নতুন কিছু প্রণয়ন নয়, ২০১৬ থেকেই এই নিয়ম বলবত্ রয়েছে।