দ্য ক্যালকাটা মিরর: করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের দৌলতে আদা এখন আমাদের অনেকের জীবনের সাথেই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই মুখের রুচি ফেরাতে প্রতিদিনের রান্নায় এখন সব বাড়িতেই ডাচ ‘জেমবের’ বা বাঙালীর আদা খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে বই কমেনি। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বদলেই নয়,শীতের মরশুমে নানান ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করতেও আদার জুড়ি মেলা ভার।এছাড়াও নানাবিধ রোগ প্রতিরোধেও আদার রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আদার সেইসব গুণাবলী।
আরো পড়ুন:মুখে পড়তে হচ্ছে না মাস্ক, চলছে স্কুল কলেজ – বিদেশ নয় দেশের এই জায়গাই করোনাহীন
১)শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবেই আগমন ঘটে সর্দি-কাশির। যার কারণে নাজেহাল কমবেশি সকলেই।আর এই সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে একেবারে ওষুধের মতো কাজ করে আদা। কাশী হলে আদা কুচি নুন মাখিয়ে খান।
২) উল্লেখ্য আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা অনায়াসেই বাড়িয়ে দেয় শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। সেই কারণেই প্রতিদিন আদা খাওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অত্যন্ত প্রয়োজন। ক্ষত স্থানেও আদার রস খুব কার্যকরী।
৩) গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর করতে একটি উপকারী উপাদান হিসাবে কাজ করে আদা।এছাড়া এখন চারদিকে বিয়ের মরশুম। তাই বিয়েবাড়ি খাওয়া করে খাওয়া দাওয়ার গন্ডগোল হলেই অনেককেই গ্যাস-অম্বলের খপ্পরে পড়ে যান। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টুকরো আদা খেলে কাজ দেবে ম্যাজিকের মতো।
৪) লকডাউনে বাড়ি বসে কাজ করে শরীরের বাড়তি মেদ এখন সকলের জীবনের বাড়তি সমস্যা। আর এই বাড়তি মেদ ঝরাতেও আদার অবদান অবিশ্বাস্যকর। হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে আদা। সকালে গরম জলে আদার রস দিয়ে খান।
৫) কোনওরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই যখন তখন অকারণ মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে আদা-চা।
৬)পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর জন্যে আদা-মধু ও গরম জলের মিশ্রণ ম্যাজিকের মত কাজ করে।