দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:বীট শীতের মরসুমে বাজারে সমস্ত সব্জির ভীড়ে থেকেও খুব সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূরত্ব বজায় রেখে চলেন অনেকেই। তবে রূপে রাঙা এই শীতকালীন সব্জিটি স্বাস্থ্য গুণেও অনান্য সব্জির থেকে একেবারে আলাদা। কিন্তু খাওয়া উপকারী জেনেও অনেকেরই মুখে রোচে না এই বহুগুণ সমৃদ্ধ সব্জিটি।
উল্লেখ্য বীটের খ্যাতি তার রঙের জন্য,যা নিমেষে হার মানাতে দোকানের যেকোনো ফুড কালার কে।আর বীটের এই রাঙা রূপের রহস্য হল “বেটানিন” নামে এক পিগমেন্টের উপস্থিতি। তাই অনেকেই এই বিট থেকে নিঃসৃত বীট জুসকেই ন্যাচারাল ফুড কালার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।


সেইসঙ্গে বীটে রয়েছে একাধিক ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্লোরিন সহ একাধিক স্বাস্থ্য উপাদান। যা রূপচর্চা থেকে রোগ প্রতিরোধ একাধিক দিক থেকে অত্যন্ত উপকারী হিসাবে বিবেচিত হয়।আজকের আলোচনার বিষয় বীটের সেই উপকারী দিকগুলিই।তাই এই লেখাটা পড়ার পর বীট বিরোধী মানুষরাও এবার থেকে বীট দেখে মুখ ঘোরানোর আগে একবার অন্তত ভেবে দেখবেন। এবার চটজলদি দেখে নেওয়া যাক বীটের একাধিক উপকারী গুণাগুণ–
আরো পড়ুন: লোকাল ট্রেন বা বাসে এই করোনা আবহে নিজেকে বাঁচিয়ে কিভাবে যাতায়াত করবেন, জেনে নিন
১) মাটির তলার সব্জি হলেও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বীটরুটে থাকা ফলিক অ্যাসিড অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।যা শিশুর টিস্যু বৃদ্ধি এবং স্পাইনাল কর্ডের বিকাশে সাহায্য করে থাকে।
২) অপরদিকে চোখের জন্যও অত্যন্ত উপকারী বীটরুটে থাকা ক্যারটিনয়েড।তবে রান্না করা বীটের চেয়ে অনেক বেশি উপকারী কাঁচা বীট।
৩) বীটের রস রক্ত পরিষ্কার রাখে । তাই প্রতিদিন বীটের রস খেলে মুক্তি মিলবে ব্রণের সমস্যা থেকে।
৪) মুখের কালো দাগ দূর করতে ওষুধের মতো কাজ করে মুলতানি মাটির সাথে বীটরুট দিয়ে বানানো প্যাক ।
৫) বীটে থাকে ফসফরাস, প্রোটিন, পটাসিয়ামের মত আরও অনেক ভিটামিন এবং মিনেরালস। যা চুল গজাতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুলের গোঁড়া মজবুত করতে এবং খুশকি দূর করতেও ব্যাপক কাজ দেয়।