দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: তেজপাতার তেজ তো আছেই সেটা রান্নায় ব্যবহার করলেই বোঝা যায়। তবে এই তেজপাতার কিন্তু আরও অনেক গুণ আছে, জানেন কি, এই পাতা আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে? জেনে নিন কিভাবে:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: দিনে অন্তত দু’বার তেজপাতা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে। এটি প্রমাণ হয়েছে যে, তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্যেও তেজপাতা বেশ উপকারী।
হজমে সাহায্য করে: তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজমশক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও হজম রস তৈরিতে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। তেজপাতায় থাকা এনজাইম দ্রুত খাবার ভাঙতে পারে ফলে যারা অন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তেজপাতা উপকারী।
আরো পড়ুন:সুখবর,আগামী ২৮ অথবা ২৯’শে ডিসেম্বর ভারত পেতে চলেছে তাদের প্রথম অনুমোদিত করোনা টিকা!
হার্ট ভালো রাখে: তেজপাতায় রয়েছে রুটিন ও ক্যাফেক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো হার্টের আবরণকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্যথা উপশম করে: তেজপাতা প্রদাহের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। তেজপাতা ও রেড়ির পাতার পেস্ট ওই ব্যাথার স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখলেই ব্যথা কমে যাবে। এছাড়া পাতার তেল কপালে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথাও কমবে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে: কিছুক্ষেত্রে তেজপাতা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে। এতে ফাইটোনিউট্রিয়ান্স ও ক্যাটচিন উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ক্ষত নিরাময় করে: তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। এটি ক্যান্ডিডার মত ছত্রাক সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
গলা খুশখুশ ও কাশি: আপনি যদি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন ও কাশির সমস্যায় ভোগেন তাহলে এটি আপনাকে খুব সাহায্য করবে। ৪-৫টি তেজপাতা গরম জলে ফোটান। জলটা অল্প ঠাণ্ডা করে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় জলে ভিজিয়ে আপনার বুকে আলতো করে মুছুন, কয়েকবার এটি করুন। আর খেয়াল রাখবেন জল যেনো খুব বেশি গরম না হয়, তাহলে আপনিই ফলাফলটা দেখতে পারবেন।
কিডনির সমস্যা দূর করে: তেজপাতা শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে এটি কিডনির সমস্যা করে ও অন্যান্য গ্যাসের সমস্যা তৈরি করে।
উদ্বিগ্নতা ও চাপ কমায়: যদি দিনের শেষে আপনার মেজাজ ঠিক রাখতে এক কাপ তেজপাতার চা খেয়ে দেখুন। এটি আপনার স্নায়ু শান্ত করে ও উদ্বিগ্নতা কমায় এমনকি ভালো ঘুমের জন্যেও উপকারী।