আমরা বলি, সময় নিন, ধৈর্য ধরুন, দুঃসময় কেটে যাবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দুঃসময় কেটে যাওয়া পর্যন্তও অপেক্ষা করতে পারেন না কোন কোন ব্যক্তি। তার আগেই বেছে নেন চরম ভয়ঙ্কর একটি পথ। একটি ছোট্ট শব্দ- সুইসাইড। শুধু একটি ব্যক্তিকে ধ্বংস করে না, তিলে তিলে শেষ করতে থাকে তার আশপাশের মানুষজনকে।কেউ পরিকল্পনা করেন ধীরে ধীরে, কারও সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। তারপরই দ্য এন্ড। কখনও উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। অনেক সময় তা-ও মেলে না। কেউ কেউ অবশ্য চরম মুহূর্তে সফল হন না। কিন্তু যিনি সফল হন না, তার মধ্যেও থেকে যায় আত্মহত্যার প্রবণতা।
আজ আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। আসুন জেনে নিই কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই ভয়ানক ব্যধি থেকে মুক্তি সম্ভব।
১) যদি কারও আত্মহত্যা করার চিন্তা মাথায় ঘোরে, তাহলে তা নিজের মনে গুমরে না রেখে কাউকে বলুন। অনেক সময় নিকটাত্মীয়র সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছা না করলে বন্ধুস্থানীয় কারও কাছেও বলতে পারেন। এতে কিন্তু মানসিক হতাশা কিছুটা হলেও কমে। একইসঙ্গে যিনি শুনলেন তিনিও তৎপর হয়ে বাড়ির বাকি লোকেদের সতর্ক করতে পারেন।
২) আত্মহত্যার চেষ্টা করার পরে বা যে ব্যক্তির মধ্যে হাই সুইসাইডিয়াল রিস্ক আছে, তার উপরে কড়া নজর রাখতে হবে পরিবারের সদস্যদের। একইসঙ্গে দ্রুত মনোবিদের কাছে নিয়ে গিয়ে কাউন্সেলিং করাতে হবে।
৩) ব্যক্তিকে চুপচাপ বসিয়ে না রেখে যে কোনও কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে। খেয়াল রাখুন, তার মন যেন কখনওই একলা হয়ে গিয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবার অবকাশ না পায়।
৪) ওই ব্যক্তির হাতের কাছে ধারালো বস্তু, দড়ি বা আঘাত লাগলে ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু রাখবেন না। ছাদ বা এমন কোনও জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেদিকে যেতে দেবেন না।
৫) নিজে বোঝানোর শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান।তার সঙ্গে কথা বলে বোঝান যে আপনি তার কষ্ট, সমস্যা বুঝতে পারছেন। তার প্রতি সহানুভূতি দেখাবেন না। তার সমস্যা শুধু বোঝার চেষ্টা করুন। তাকে গুরুত্ব দিন। এতে সুইসাইডের প্রবণতা কমে।