বিপদ কখনো বলে–কয়ে আসে না। বলা নেই, কওয়া নেই, হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু—এমনটা আমরা প্রায়ই শুনি। এই রকম হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলে ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকের আগে আমাদের শরীর সংকেত দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে টেরও পাওয়া যায় না। নিজের, কাছের মানুষের হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। অথচ এই সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
তাই আজ ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে তে ভালো ভাবে জেনে নিন, কিভাবে বিপদ এলে সেটার মোকাবিলা করবেন।
প্রসঙ্গত, সবার আগে আপনাকে বিপদ বুঝতে হবে। তার পরেই নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা রকমের হয়ে থাকে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে অন্য লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়, যেমন ছোট শ্বাস, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা।
নিজের ক্ষেত্রে করণীয় :
১. হার্ট অ্যাটাক হলে ভয় পাবেন না।
২. অ্যাটাকের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খুব দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশতে থাকুন। কাশির সঙ্গে কফও বের করে আনার চেষ্টা করুন।
৩. প্রতিবার কাশি দেয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পর পর করতে থাকুন। এতে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। কারণ দীর্ঘশ্বাসের ফলে মানুষের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয়। আর ঘন ঘন ও জোরে কাশি দেয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় এতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।
অন্য কেউ আক্রান্ত হলে :
১) প্রথমেই রোগীকে রিল্যাক্সড অবস্থায় নিয়ে আসুন। ঘাড়, মাথা কাঁধ দেওয়ালে হেলান দিয়ে মাটিতে বসান যার ফলে হাঁটু মুড়ে রোগীকে বসালে রক্তচাপ কমবে।
২) অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকলে তবে অ্যাসপিরিন দিন। এই সময় ৩০০ গ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারলে সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
৩) ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা চেক করতে থাকুন।রোগীর নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে শরীরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।অনেক সময় রোগীর জিভ গলায় আটকে যেতে পারে। এরকম হলে দ্রুত তা ছাড়িয়ে দিতে হবে। বমি আসলে যাতে তা শ্বাসনালীতে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
৪) রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে সিপিআর-এর সাহায্য নিন।