দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
জ্বরের অনেক কারণ থাকতে পারে তৎসহ জ্বরের বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। নীচে জ্বরের উপসর্গ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আলোচনা করা হল। উপসর্গ অনুযায়ী জ্বরের হোমিওপ্যাথি ওষুধ —
স্বল্প-বিরাম জ্বর , যন্ত্রণাদির পর হঠাৎ জ্বর কমে যায়। রোগীর চোখমুখ থমথমে,লাল দেখায়। গায়ের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে,মাঝে মাঝে ঘাম হয়,ঘাম গরম হয়। শরীরে অত্যন্ত ব্যাথা। পিপাসা খুব থাকে। ঘুমের মধ্যে ভয়ানক স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠে – Belladonna ।
জ্বর আসার আগে গায়ে ব্যাথা, গা-হাত কাম্রানি,হাই তলা,চোখ জ্বালা। জ্বর এলে প্রথমে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে শীত ও কাঁপুনি আসে,রোগী খুব ছটপট করে। গায়ের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কাশি,পিপাসা কিছুই থাকে না– Rhus tox ।
বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লেগে জ্বর, সর্দি জ্বর বা জ্বরে একেবারে ঘাম থাকে না, পিপাসা খুব থাকে, রোগীর অন্তর্দাহ, ছটফটানি, তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে ও অবিরাম জ্বর, জ্বর বৃদ্ধির সাথে কাশির বৃদ্ধি, কাশলে মাথায় ও বুকের ব্যাথা বাড়ে – Aconite ।
রোগী চোখ বন্ধ করে একেবারে চুপ হয়ে পড়ে থাকে,নড়াচড়া করলে ব্যাথা বাড়ে, বুক ধড়পড় করে, চোখ ও মাথা খুব ব্যাথা করে,গায়ে ব্যাথা থাকে, মুখের স্বাদ বিস্বাদ হয় ও তেতো হয়, অল্প ঘাম থাকতে পারে – Bryonia ।
টাইফয়েড-জ্বর, সমস্ত শরীরে ভয়ানক ব্যাথা, শীতবোধ, কখন বলে বিছানা খুব শক্ত, শুয়ে থাকলে বেদনার বৃদ্ধি, মাথাভার বোধ ও শিরঃপীড়া, স্বল্পবিস্তর প্রলাপ বকে। নিশ্বাস, ঘাম, মলমূত্রতে দুর্গন্ধ – Baptisia Q।
পুনঃপুন জ্বর ও ঘাম,জ্বরে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, ঘাম এতো বেশি হয় যে যেন মনে হয় স্নান করে উঠে এসেছে। হেপটিক জ্বর – রোগীর ক্ষিদে খুব ও আহার সত্ত্বেও দিন দিন রোগা হয়ে যায় – Arsenic iod ।
এক সপ্তাহ অন্তর একদিন শীত দিয়ে জ্বর আসে ও ঘাম দিয়ে ছেড়ে যায় – Ammon Mur ।
ঠিক বেলা বা রাত্রি ১১টার দিকে জ্বর আসে সাথে মনে হয় বুকে ভারী চেপে আছে মনে হয় ও দমবন্ধের ভাব থাকে – Cactus Grandi ।
প্রথমে নিম্নশক্তি অর্থাৎ ৬ বা ৩০ প্রয়োগ করবেন। আর যদি রোগী বেশি দিন ধরে ভোগেন তাহলে ২০০ প্রয়োগ করবেন। ২/৩ ফোঁটা করে ২ বার খালি পেটে সেবন করবেন।