দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
এপ্রিল জুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। গরমে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, তীব্র গরমে স্বাস্থ্যের ওপরে যে প্রভাব পড়ে, এতে জল শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করতে পারেন, সেই পরামর্শ গুলো দেখে নিন —
১. সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে বা অধিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাবেন না। এই সময়টা দিনের সবচেয়ে বেশি গরম থাকে।
২. সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য রোদবচশমা ব্যবহার করুন। সূর্যের আলোয় সরাসরি যাওয়ার পরিবর্তে মাথায় ছাতা, টুপি, পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।
৩. তৃষ্ণা না পেলেও প্রচুর জল পান করুন। পানি ছাড়াও ডাব, জুস, লাচ্ছি, লেবুপানি, দই প্রভৃতি খেতে পারেন।
৪. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের পরিবর্তে অল্প অল্প খান।
৫. সুযোগ থাকলে একাধিকবার স্নান করতে পারেন। বিশেষ করে, ঘুমানোর আগে স্নান করে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে।
৬. হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরবেন।
৮. ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে এবং ঘরে যাতে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সে সুযোগ রাখবেন।
৯. কারও যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও মাথা ঝিমঝিম করে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১০. গরমের দিনে খাবার সামান্য এদিক-ওদিক হলেই পেটব্যথা হয়। বাইরের খাবার খাওয়ার আগে সচেতন থাকুন।
১১. গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে ঘামাচির সমস্যা বাড়ে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অতিরিক্ত গরমে প্রচুর জল পান করা উচিত।
১২. গরমের সময়ের মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলে। জলের সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয়, যেমন: খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি ইত্যাদিও পান করতে হবে।