ধাপা কলিং। নতুন জুতো, নতুন জামা পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ব্যাঙ লাফিয়ে হপহপিয়ে বেরুবেরু করতে করতে, ফুচকা ভেলপুরি সাঁটাতে সাঁটাতে কখন যে কলেজ স্কোয়ার, শ্রীভূমি হয়ে ধাপায় পৌঁছে যাবেন পলিথিনের প্যাকেটে চড়ে, টেরও পাবেন না। জামা-জুতো যা কিনলেন লাইন দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে, এইবেলা পরে নিন। পরের জন্য তুলে রাখবেন না। শেষ যাত্রায় গায়ে দিলেও পলিথিনের বস্তার মধ্যে পোশাকটা ভালো করে দেখা যাবে না।
খুশিতে বাগড়া দেব না। যে ক’টা দিন আছেন, খুশি থাকুন। আমিও থাকব কিনা, জানি না। রোগ বাঁধিয়ে আপনি যখন আমার চেম্বারে এসে মাস্ক খুলে কাশবেন, তখন আমার জুতো না কেনা, পুজো না দেখা হয়ত ব্যর্থ ইতিহাস হয়ে যাবে। বেশ, তাই হোক।
ধাপায় দেখা হবে। ওখানে আমরা ভৌতিক কফি হাউজ খুলব আর মাস্ক না পরে জমিয়ে আড্ডা দেব। কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দিতে চাই না, বিশেষত মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের। যাঁরা বিশ্বাস করেন সবটাই নাটক, করোনা নেই, তাঁরা নাহয় সেই বিশ্বাস বুকে নিয়েই শান্তিতে মরুন।
তর্ক করব না। বেশ, করোনা নেই। কিন্তু ধাপা আছে। এককালে ওখানে ছিল প্রাচীন অবিভক্ত বাঙলার নৌবাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এক জংশন। স্বাধীন ভারতে হয়েছে আস্তাকুঁড়। খালি চোখে দেখা যায়। আপনিও হয়ত দেখেছেন। অতএব ধাপা আছে।
ধাপা ডাকছে। বেরিয়ে পড়ুন।