দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু সাধারণ অথচ অসাধারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার প্রাতরাশের তালিকায় রাখলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার মানে আপনার পাচন তন্ত্রের উন্নতি সেই সাথে শরীরের সামগ্রিক ইম্যুনিটি বৃদ্ধি পাওয়া। এই করোনা আবহে বেঁচে থাকার একটাই উপায় নিজেকে করে তুলতে হবে ‘ইম্যুনিটি’ পাওয়ারফুল। আজ জেনে নিন সকালের খাবারে ঠিক কোন কোন খাদ্য ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন জিনিস ব্যবহার করবেন-
শশা- আমরা সকলেই জানি ইরেপসিন নামক এক উৎসেচকের উপস্থিতির কারণে শশা হজমের শক্তি বৃদ্ধিতে উপযোগী। পেপটিক আলসার, অম্বল, গ্যাসের সমস্যা থেকে স্বস্তি দিতে পারে শশা। তাই প্রাতঃরাশে একটি শশা খেলে, তা শরীরের পক্ষে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। তাই প্রাত:রাশে অবশ্যই রাখুন শশা।


পাকা পেঁপে বা কাঁচা পেপে- খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের প্রথম আহারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে সকালের খাবারে পেঁপে দিন শুরুর জন্য উপযুক্ত। সকালে প্রাতঃরাশের তালিকায় পেঁপে রাখুন, এই পেপে সারাদিনের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। পেঁপেতে প্যাপাইন নামক একটি উৎসেচক থাকে, যা প্রোটিন হজমে সহায়ক। এর পাশাপাশি আপনার হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলসও।


আপেল- ‘ওয়ান অ্যাপল আ ডে, কীপ্স ডক্টর অ্যাওয়ে’ মানে ‘দিনে একটা আপেল খেলে, শরীর থাকবে আপনার দখলে’ এই ফর্মুলা তো আমরা সকলেই জানি। আর এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। আপেলে ভিটামিন এ (A) ও সি (C) তে সমৃদ্ধ আপেলে পটাশিয়াম ও একাধিক মিনারেলসও থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজম ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।


পাকা কলা- পাকা কলার গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত নয় এমন লোক কমই রয়েছে। কলা প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। পাশাপাশি এটি অন্ত্রের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।


মধু ও লেবু- ঈষদুষ্ণ জলে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করলে হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুই-ই বৃদ্ধি পায়। সকালে খালি পেটে এটি পান করলে মেটাবলিজম বাড়ে ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু খেয়ে নিন। পুরো সঞ্জীবনী সুধা’র মত কাজ করবে।

