দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পালং শাক। বাঙালি থেকে ইউরোপিয়ান, মার্কিন থেকে মেক্সিকান সকলের একটি অতি পরিচিত সবজি। বাচ্চাদের কমিকস এ হোক বা কন্টিনেন্টাল ডিশে এই অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি অপরিহার্য কেননা এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ডাক্তাররা বলেন যে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে সবুজ শাক-সবজি রাখা উচিত। কিন্তু বাচ্চারা অনেক সময় পালং শাক খেতেই চায় না! কিন্তু বাচ্চাদের মুখ রোচে এমনভাবে পালং সকের রেসিপি পেলে আর কথাই নেই। পাকোড়া তো আমাদের সবারই পছন্দের! পালং শাক দিয়ে যদি মুচমুচে বেসনের পাকোড়া তৈরি করা যায়, তাহলে কেমন হয়? যারা শাক খেতে পছন্দ করে না, তারাও কিন্তু মজা করে খাবে। তাহলে দেড়ি না করে, পালং পাকোড়ার একটি নতুন পদ পালং বেসনকুমারী তৈরির সবচেয়ে সহজ রেসিপিটি জেনে নিন!
পালং বেসনকুমারী তৈরির নিয়ম
উপকরণ:
পালং শাক- ১ আঁটি
বেসন- ১ কাপ
হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
লাল লঙ্কার গুঁড়ো- ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
চাট মসলা- ১ চা চামচ
লবণ– পরিমাণমতো
বেকিং পাউডার- ১ চা চামচ
তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
১) প্রথমে শাকের আঁটি থেকে কচি ও সতেজ পাতাগুলো বেঁছে নিন। তারপর পালং পাতাগুলো জল দিয়ে আলতো ঘষে ঘষে ধুয়ে তুলে রাখুন।
২) অন্যদিকে বড় একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ বেসন (প্রয়োজন অনুযায়ী মাপ বাড়াতে পারেন), এক চা চামচ বেকিং পাউডার, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
৩) এবার এই মিশ্রণে আস্তে আস্তে জল যোগ করুন এবং ঘন করে গোলা তৈরি করে নিন। বেগুনি বা চপ বানানোর জন্য যেমন গোলা বানিয়ে নেন, সেভাবেই এটি বানাতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, গোলা যেনো বেশি পাতলা না হয়ে যায়! একটি আঠা আঠা থাকলেই ভালো।
৪) গ্যাসের ওভেনে কড়াই বা প্যান বসিয়ে তাতে তেল গরম করতে দিন। ওভেনের হিট মিডিয়াম রাখবেন।
৫) এরপর ধুয়ে রাখা পালং পাতা এই বেসনের গোলায় চুবিয়ে নিন। পাতার সবদিকে যেন সমানভাবে কোটিং হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৬) এবার এটি গরম তেলে দিয়ে দিন এবং বাদামি রং না আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৭) একপাশ ভাজা হয়ে গেলে সাবধানে উলটিয়ে দিন। ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে তেল থেকে তুলে কিচেন টিস্যুতে রাখুন ও উপরে সামান্য চাট মসলা ছিটিয়ে দিন।
৮) এভাবে এক এক করে সবগুলো পালং পাকোড়া ভেজে নিন। টিস্যুতে রাখলে এটি পাকোড়ার গায়ে লেগে থাকা এক্সট্রা তেল শুষে নেবে। উপরে চাট মসলা দেওয়াতে এটার স্বাদ কিন্তু আরও বেড়ে যাবে।
ব্যস, অল্প সময়েই মজাদার ও হেলদি একটি স্ন্যাকস তৈরি হয়ে গেলো! এবার পছন্দের সসের সাথে গরম গরম পালং পাকোড়া সার্ভ করে দিন। বাচ্চাদের টিফিনে কিংবা বিকেলের মুড়ির সাথে দারুণ মানিয়ে যাবে স্ন্যাকসটি। আর গরম ভাতের সাথেও এই পাকোড়াটা খেতে ভালোই লাগে! তাহলে, হাতের কাছে সব উপকরণ থাকলে আজই বানিয়ে ফেলুন মজাদার পালং বেসনকুমারী।