দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:চা পাগল মানুষের কাছে চা মানেই আবেগ। দুধ চা, লিকার চা, লেবু চা, মশলা চা, গ্রীন টি -এর পর সেই আবেগের তালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে “হোয়াইট টি”।বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে এই চায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।অন্যান্য চায়ের তুলনায় এই চায়ের উৎপাদন প্রক্রিয়া অনেক বেশি জটিল।তাই এই বিশেষ ঔষধি গুণ সম্পন্ন “হোয়াইট টি” একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত তেমনি অন্যদিকে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
বর্তমানে এই চা ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে।’‘হোয়াইট-টি’’ তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা তারুণ্য বজায় রাখার পাশাপাশি ওজন কমায় ম্যাজিকের মতো। হোয়াইট টি অতিরিক্ত স্নেহকোষ তৈরি হওয়া আটকায়।তাই নতুন ফ্যাট সেল তৈরি না হওয়ায় অতিরিক্ত ওজনও বাড়ে না।এছাড়া এই চা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অনেক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও খিদে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ফাইবার বিহীন জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবনতাও কমায়।
হোয়াইট টি প্রস্তুত করা হয় ক্যামেলিয়া সাইনেসিস গাছের কুঁড়ি ও পাতা থেকে। চা গাছের বন্ধ কুঁড়িগুলোকে একটি একটি করে চা গাছ থেকে তুলে প্রক্রিয়াকরণের পরই এই বিশেষ চা তৈরি হয়।
এই চায়ের রঙ হয় মূলত সবুজ ও হলুদ রঙের মাঝামাঝি।তবে এর গায়ে সাদা লোম থাকায় একে কেউ কেউ বলেন, ‘সিলভার নিডল হোয়াইট-টি’ বা রূপার সুঁইয়ের মতো সাদা চা।সেই থেকেই এই চায়ের নামকরণ হয় “হোয়াইট টি”।ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে পাতা তোলার কাজ শেষ করতে হয়। পাতা উত্তোলনের সঠিক সময় হলো সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ।