দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো : মহামারী করোনার দাপটে গৃহবন্দী দেশের আম আদমি। এই সময়ে সানিটাইজারের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম পালনের পাশাপাশি অধিক গুরুত্বপূর্ণ দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ প্রসঙ্গে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ছাড়াও মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এর কার্যকারিতা বহুগুনে । অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে শাকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা অপরিসীম। এর পাশাপাশি হলুদ, ধনে, জিরে, দারচিনি, জোয়ান, আদা, রসুন, লবঙ্গ, জাতীয় মশলা প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ধরনের মশলা গুলিতে রাসায়নিক যৌগের সমাহার থাকার দরুন শরীরের বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়ায় নানারকম ভাবে সহায়তা করে।
বর্তমানে পুষ্টিবিদ দের পরামর্শ থাকছে দিনের শুরুতেই কাঁচা আমলকী ও উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস খাওয়ার, পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিক ঢ্যাঁড়শ, পটল, কুমড়ো, বিনস, গাজর, উচ্ছে, বাঁধাকপি, নটে শাক, কলমি শাক, ক্যাপসিকাম, বরবটি, কড়াইশুঁটি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ সহ পুষ্টিকর আনাজ। রোজকারের খাদ্য তালিকায় এই কয়েকটা জিনিস থাকলেই কেল্লাফতে। কারণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেই হবে।


শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক দিনে এক বা দু’ বার তুলসি, দ্বারচিনি, গোলমরিচ, আদা, তেজপাতার পাচন অথবা হার্বাল চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। খুসখুসে কাশির জন্য দিনে একবার গরম জলের মধ্যে পুদিনা পাতা বা জোয়ান দিয়ে ভাপ নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক. গলা খুসখুস করলে দিনে দুই থেকে তিনবার মধুর সঙ্গে কিছুটা লবঙ্গ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এবার চোখ রাখা যাক বেশ কিছু মশলার পুষ্টি উপকারিতার বিষয়ে -হলুদ : আদি মশলা হরিদ্রা তথা হলুদ শুধু রান্নার সঙ্গে যুক্ত নয় জীবনচর্যার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হলুদ রান্নার রঙ আনার পাশাপাশি স্বাদ বা ফ্লেভারের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। পাশাপাশি ব্যাথা, বেদনা,যন্ত্রনা,হজমের গোলমাল সারাতে উপকারী। হলুদের মূল রাসায়নিক যৌগ ‘কারকিউমিন’। এই যৌগটি একটা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা লিভারের ফ্যাট বৃদ্ধি প্রতিরোধে, ডায়াবেটিস জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে বড়ো ভূমিকা গ্রহণ করে। তাছাড়াও হলুদে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে যা শরীর কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


গোলমরিচ : মশলা হিসেবে প্রতিদিন ই আমরা এটিকে খাবারে ব্যবহার করে থাকি। পিৎজা, পাস্তা, ম্যাগি কিংবা মাছ, ডিমের তরকারী মুখরোচক খাবারে লবনের সঙ্গে গোলমরিচ ব্যবহৃত হয়। গোলমরিচ স্বাদকোরকগুলিকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে এর ফলে পাকস্থলীতে যথেষ্ট পরিমাণে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসৃত হয়ে খাদ্যকে দ্রুত পরিপাক করে। যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ক্লান্তি ও ক্ষয়জনিত সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও বায়ুজনিত সমস্যার সমাধানে,জীবাণু সংক্রান্ত সমস্যা থেকে পাকস্থলীর রক্ষার্থে মোক্ষম দাওয়াই গোলমরিচ।