দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:শীতকাল মানেই পিঠে খাওয়ার মরসুম।আর খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে বাঙালি চিরকালই গর্বিত নোলা। তা সে বিশ্বের যে প্রান্তেই বাঙালি বসে থাকুন না কেন খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আবার অল্পেতে স্বাদ মেটে না!অন্যদিকে যুগ যুগ ধরে দুই বাংলার মেলবন্ধনে তৈরি হওয়া খাদ্য সংস্কৃতি থেকে উৎপত্তি হয়েছে একাধিক খাদ্যাভ্যাসের।তেমনি এক ধরনের খাদ্যভ্যাস হল হরেকরকম পিঠে।আর সামনেই আসছে পৌষসংক্রান্তি।এই বিশেষ দিনে বাঙালির ভুরিভোজে গোকুল পিঠে থাকা কিন্তু চাই-ই চাই।তাহলে চলুন আর দেরি কীসের! চটপট দেখে নেওয়া যাক বাংলার ঐতিহ্যবাহী গোকুল পিঠে বানানোর অত্যন্ত সহজ একটি রেসিপি।
উপকরণ:
নারকেল কোরা
পাটালি
ক্ষীর
দুধ
চিনি
ময়দা
চালের গুঁড়ো
সাদাতেল অথবা ঘি
পদ্ধতি:
প্রথমে কড়াইতে নারকেল কোরা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিয়ে দিয়ে দিতে হবে বেশ কিছুটা পাটালি। এবার নারকেল নাড়ু করার মতো করে নারকেলের সাথে পাটালি ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানো হয়ে গেলে এই পর্যায়ে কিছুটা ক্ষীর দিয়ে ভালো করে পাক দিয়ে নিতে হবে।
এবার সবকিছু নারকেলের সঙ্গে ভালো করে মিশে গিয়ে কড়াই থেকে উঠে এলে নামিয়ে নিতে হবে। এবার ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।পুর ঠান্ডা হয়ে এলে নারকেলের পুর নিয়ে হাতের তালুর সাহায্য চ্যাপ্টা করে প্যাড়ার সাইজের মতো ছোটো ছোটো করে বানিয়ে নিতে হবে।
এবার একটা পাত্রে ময়দা, চালের গুঁড়ো এবং চিনি একসাথে মিশিয়ে অল্প অল্প করে জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ব্যাটার যেন বেশি পাতলা না হয় আবার বেশি ঘনোও না হয়। এবার ওই পুর দিয়ে তৈরি প্যাড়া গুলো ঘন ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে উল্টে পাল্টে হাল্কা বাদামী রং ধরা পর্যন্ত হাল্কা করে ভেজে নিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে ভাজা যেন বেশী কড়া না হয়। কারণ তাহলে পিঠে গুলো শক্ত হয়ে যাবে। এবার অন্য একটা পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে নিয়ে ওর মধ্যেও বেশ কিছুটা পাটালি মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।
এবার আগে থেকে ভেজে রাখা গোকুল পিঠেগুলো দুধের মধ্যে দিয়ে এপিঠ- ওপিঠ করে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিলেই তৈরি গোকুল পিঠে। এরপর পিঠে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করতে হবে। পিঠে ঠান্ডা হলেই পরিবেশন করা ভালো কারণ তাতেই পিঠে বেশি সুস্বাদু লাগে।
লেখা: অনিতা দত্ত