ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ “আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভূবন ভরা”-এ আলো সে আলো না এ আলো বর্তমান যুগোপযোগী গেজেটের আলো। যা গোটা পৃথিবীকে চালিত করছে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমাদের বাড়ির বাচ্চাটি বসে পড়ছে অনলাইন ক্লাস করতে। বিগত ৯মাস তারা এমনি করেই নিজের ড্রয়িংরুমকেই ক্লাসরুম বানিয়ে ফেলেছে।
এমনকি ৫ বছরের পুচকেও শিখে গিয়েছে কিভাবে অনলাইন ক্লাস জয়েন করতে হয়। মাঝে মাঝে ভিডিও অফ রেখে কিভাবে খানিকটা ফাঁকি দেওয়া যায় সেটাও সে আয়ত্ত করে নিয়েছে। কিন্তু এটা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে কি প্রভাব পড়তে পারে সেটা জেনে রাখা প্রয়োজন। আজ জেনে নেব অনলাইন ক্লাসের নেতিবাচক প্রভাব ও তা থেকে বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখার টিপস।
আরো পড়ুনঃ শিশুর পেটে কুচো কৃমির সমস্যার সাধারণ সমাধান
অনলাইন ক্লাসের নেতিবাচক দিকঃ প্রথমেই বলেছি আমরা বাধ্য হয়েই বাচ্চাদের অনলাইন ক্লাসে বসাচ্ছি। আর নিজেদের অজান্তেই নিজের বাচ্চার ক্ষতি করে বসছি। এর নেতিবাচক দিকটাই আনেটা বেশি। পড়াশোনা তো তেমন হচ্ছে না তার ওপরে আছে টেলিফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা। ঠিকমত শুনতে বা বুঝতে অসুবিধা। এছাড়া যেটা প্রধান সমস্যা, সেটা হলো বাচ্চার শরীরের ক্ষতি। বাচ্চার চোখের, মাথার, ঘাড়ের, কানের ইত্যাদি অঙ্গ’র খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়া দীর্ঘ সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের সামনে চোখ রাখলে চোখে জ্বালা ভাব আসতে পারে। হেডফোন কানে বেশীক্ষণ থাকলে কানের সমস্যাও আসতে পারে। কাঁধে, পিঠে ব্যথা অনুভব হতে পারে হতে পারে মাথা ব্যথাও। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে খেলা দৌড়াদৌড়ি সবই বন্ধ আছে। এরফলে সময়টা বড় একঘেয়ে হয়ে উঠছে বাচ্চাদের কাছে। এর ফলে শিশু মনের উপরও প্রভাব পরছে। শিশু খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে এতে।
এবার রইল কিছু টিপস:
১) নিয়মিত শিশুর ৮-৯ঘন্টা ঘুমতে দেওয়া উচিত।
২) ক্লাস চলাকালীন ২০মিনিট ছেড়ে ছেড়ে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া দরকার, যাতে ক্জখ ড্রাই না হয়ে যায়।
৩) ক্লাসের পর বাচ্চার সাথে গেজেট ছাড়া অন্য খেলনা বা কথা বলে বলে গল্প করে খেলা দরকার
৪) ফোনের স্ক্রিনে অ্যান্টিগ্লেয়ার গার্ড বা ব্লু-রে গ্লাস ব্যবহার করা দরকার যা বাচ্চার চোখকে রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষিত রাখবে।