দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সকলেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট কিংবা কন্ডোমের উপরই ভরসা করেন। কিন্তু, এই সব কেমিক্যাল ও সিন্থেটিক আধুনিক পদ্ধতি ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এই সম্পর্কে ধারনা থাকলে চিকিৎসকেরা কাছেও যাওয়ারও প্রয়োজন হবে না।
মনে রাখবেন মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত। এতে এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলা হয়ে থাকে। এই দিনগুলিতে সহবাস করলেও গর্ভধারণের ঝুঁকি অনেকাংশেই থাকে না। চিকিৎসকরা এই হিসেব কে অনেক সময় সম্ভোগের ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলে থাকেন।
তবে এই পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জানা দরকার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলি?
বিশেষজ্ঞদের মতে-
এই পদ্ধতির জন্য সবার আগে জানতে হবে মাসিক ঋতুচক্র নিয়মিত হয় কিনা। হলে তা কত দিন অন্তর হয়।


সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে।
পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন।
আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ ঝুঁকির দিন।
একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক…
ধরুন আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়। তবে ২৮-১৮= ১০, অর্থাৎ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় নয় দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এই দিনগুলিতে কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও সহবাস অনায়াসেই করা সম্ভব। ১০ নম্বর দিন থেকে অনিরাপদ দিন শুরু। তাই এই দিন থেকে সহবাসে সংযত হতে হবে।
৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র। তাই ৩০-১০= ২০, অর্থাৎ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ ঝুঁকির দিন। ২১তম দিন থেকে আবার অবাধে সহবাস করা যেতে পারে। এতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই। তবে, এতে ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে অবাধ সহবাসের ফলে গর্ভধারন হতে পারে।
একেবারে সহজভাবে এবার ব্যাপারটি দেখুন..
পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাতদিন ও শেষের প্রথম সাতদিন সহবাস করা নিরাপদ। তবে, পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না। তবে সর্বোপরি এটা বলতেই হয়, কনডোম ছাড়া যৌন মিলন করা মোটেও নিরাপদ নয়। এখনো কিন্তু প্রমানিত হয় নি যে এই ক্যালেণ্ডার পদ্ধতি ১০০% নিরাপদ। তাই বুঝে পা ফেলবেন। তবে মনে রাখবেন মিলনের সময় পুরুষের নিয়ন্ত্রণ সঠিক থাকলে রিস্ক অনেকটাই কমে যায়।