বারাসাতের কাছেই একটা ছোট্ট গ্রাম বাবপুর। সেখানেই থাকে বছর পঁচিশের যুবক স্বরুপ জানা। বাবার রেখে যাওয়া “সুরেলা ইলেকট্রিক” চালাতে হয় তাকেই । দোকান ছেড়ে বেরোনোর উপায় নেই কোথাও। সংসারের গুরু দায়িত্ব তার কাঁধে । উচ্চমাধ্যমিকের পর কলেজে ভর্তি হয়ে ছিল কিন্তু ফুটবলের খেলার নেশায় কলেজ শেষ করা হয়ে ওঠেনি আর। এলাকার মানুষ তাকে চেনে সাপুড়ে বলে। তার সর্প প্রেম জানে না এলাকার এমন একটি মানুষও নেই । বাবপুর গ্রামে একটা সাপ মরতে দেয়না না সে । যেখানেই সাপ দেখা যায় সবার আগে খবর আসে তার কাছে ,তারপর সে ও তার দত্তপুকুর নিবাসী বন্ধু অমর হালদার সেই সব কেউটে, গোখরো,চন্দ্রবোড়াদের উদ্ধার করে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। আর সময় পেলেই বেরিয়ে পরে ক্যামেরা হাতে। তবে ছবি তুলতে তাকে গ্রামের বাইরে যেতে হয় না। আসলে সে যেতে চাইলেও যেতে পারে না দোকান যে খুলতেই হয় রোজ। পাখি, সাপ থেকে শুরু করে সমস্ত বন্য প্রাণীর ছবিই তার গ্রামেই তোলা তার একটিঅতি সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে তোলা তার কিছু অসাধারণ ছবি দেখে নেবো আমাদের আজকের ফটো ফীচারে।