দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইপিএলের ডবল হেডারের প্রথম পর্বে আজ মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। টসে জিতে আজ কলকাতাকে প্রথম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ দেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।
ব্যাটিং অর্ডারে আজও বড়োসড়ো পরিবর্তন করেন কলকাতা অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে শুভমান গিলের সাথে পাঠানো হয় নিতিশ রানাকে। আগের দিনের মতোই এই ম্যাচেও তেমন সফল হতে পারেননি গিল। ব্যক্তিগত ৯ রানে নকিয়ার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। রানে ফিরতে পারেননি তিন নম্বরে আসা রাহুল ত্রিপাঠীও।ব্যক্তিগত ১৩ রানে তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান নকিয়া। যখন সবেমাত্র ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছিল কলকাতায় ঠিক তখনই মাত্র তিন রানে দিনেশ কার্তিককে ফিরিয়ে দেন রাবাডাও।
অনেকেই যখন ভাবছিলেন এ আবার গত ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঠিক সেই সময় আজ নাইটদের সংকটমোচন হয়ে ওঠেন নারিন এবং রানা।রাবাডার বলে আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে অবধি ২০০ স্ট্রাইকরেটে ৬ টি চার ও ৪ টি ছয়ের সাহায্যে মাত্র ৩২ বলে দুরন্ত ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যার ফলে আজ রাসেলের অভাব বোধ করতে হয়নি নাইট বাহিনীকে।
বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আজ নিজের ইনিংস গড়ে তোলেন রানাও। নারিনের সাথে যোগ্য সঙ্গত তো তিনি দিয়েছিলেনই, কিন্তু তাকে হারানোর পর দ্রুত রান তোলার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন রানা। শেষ ওভারে স্টয়নিসের বলে আউট হবার আগে অবধি আজ মাত্র ৫৩ বলে ১৩টি চার ও একটি অসাধারণ ছয়ের সাহায্যে ৮১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ৮ বলে ১৭ রান করে দ্রুতগতিতে রান তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাহায্য করেন অধিনায়ক মর্গ্যানও।
মূলত রানা এবং নারিনের অসাধারণ পার্টনারশিপের কারণেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লির সামনে ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করল কলকাতা। আবুধাবির এই বড় মাঠে রান তাড়া করা যথেষ্ট কঠিন হবে শিখরদের পক্ষে।
নারিন-রানার রাজকীয় ব্যাটিংয়ে আক্রান্ত মুঘল বাহিনী, ১৯৫ রানের বিশাল টার্গেট সামনে

