দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আইপিএলের ডবল হেডারের প্রথম পর্বে আজ মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। টসে জিতে আজ কলকাতাকে প্রথম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ দেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।আজ এই আমন্ত্রণের যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার করে কলকাতা। সুনিল নারিনের ৬৪ এবং নিতিশ রানার দুরন্ত ৮১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে দিল্লি সামনে জয়ের জন্য ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে কেকেআর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মরশুমে বল হাতে তেমন ভাবে সফল না হতে পারা বিগ টিকিট প্লেয়ার প্যাট কামিন্স পরপর ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ অজিঙ্কা রাহানে এবং দুরন্ত ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ানকে।বলতো সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার এবং রিষভ পান্থের উপর।
মরশুমে একটি ভালো অর্ধশতরান পেলেও পরের ম্যাচগুলিতে সেভাবে সফল হতে পারেনি শ্রেয়াস। তবে আজ মনোমতো শুরু পেয়েছিলেন দুজনেই। আবুধাবির বড় মাঠের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিঙ্গেল ডবলস তুলে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দিকে নজর দেন তারা। কিন্তু আজ মাঠে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি পান্থ।রহস্য স্পিনার বরুন চক্রবর্তীকে গায়ের জোরে মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ২৭ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ফলে দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্যানের আশার বীজ ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার এবং হেটমায়ার। কিন্তু বরুন চক্রবর্তীর সামনে দাঁড়াতে পারেননি হেটমায়ার। বড় শট নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। পরের বলেই মাটি কামড়ে টিকে অধিনায়ক আইয়ারকেও ফিরিয়ে দেন বরুন। পরিনতি পায়নি তার ৩৮ বলে ৫ টি চার দিয়ে সাজানো ৪৭ রানের ইনিংস।
বোলিংয়ে আজ আগুন ঝড়ানো তখনো শেষ হয়নি বরুনের। দিল্লি জয়ের পথে শেষ পরিচিত কাঁটা মার্কাস স্টয়নিসকে ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন তিনি। একই ওভারে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় আক্সারকেও। ফলে আইপিএলে প্রথমবার নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তরুণ বরুন চক্রবর্তী।
আর মাত্র ১১২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের সরনি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যেতে শুরু করে দিল্লি। নিজের নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের কোটা শেষ করেন বরুন।
১৯ তম ওভারে রাবাডাকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন প্যাট কামিন্স। আজ চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে শেষ হয় তার কোটা। ফলে কলকাতার জন্য জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানেই থমকে যায় দিল্লির ইনিংস এবং ৫৯ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় কেকেআর।
এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে নিজেদের চতুর্থ স্থান আরও পাকা করল কেকেআর।