দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ দুবাইয়ে ডাবল হেডারের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এবং হায়দ্রাবাদ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে পাঞ্জাবকে প্রথম ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ দেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার।কিন্তু রাশিদ খান এবং জেসন হোল্ডারের জোড়া আক্রমণে পরপর উইকেট হারিয়ে আজ শুরু থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায় পাঞ্জাব। শেষপর্যন্ত নিকোলাসের ৩২ রানের সাবধানী ইনিংসের দৌলতে কিছুটা মান বাঁচলেও মাত্র ১২৬ রানেই শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড ওয়ার্নার। তরুণ অর্শদীপ সিংহ, মুরুগান অশ্বিন তো বটেই তার আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি অভিজ্ঞ শামিও। সপ্তম ওভারে
রবি বিশনোইয়ের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে অবধি মাত্র ১৯ বলে ৩টি চার ও ২টি দুর্দান্ত ছয়ের সাহায্যে ৩৫ রানের অনবদ্য অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন তিনি।
পরের ওভারেই মাত্র ১৯ রানে জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে ম্যাচের অভিমুখ আবার কিছুটা ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করেন মুরুগান অশ্বিন। নিজের প্রথম তিন ওভারে রান দিলেও দশম ওভারে স্পেলে ফিরে আব্দুল সামাদকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন শামিও।বলতো হায়দ্রাবাদের তরী তীরে ভেড়ানোর দায় এসে পড়ে গত ম্যাচে দুই নায়ক মনিশ পান্ডে এবং বিজয় শংকরের কাঁধে।
আরও পড়ুনঃ আজ গুরু-শিষ্যের জমবে লড়াই কার দাপটে মাতবে দুবাই
পরপর তিন উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করলেও রান আজ যথেষ্ট কম ছিল পাঞ্জাবের ব্যাগে। তাছাড়া শুরুতেই মারমুখী ইনিংস খেলে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। সুতরাং মনিশ পান্ডে এবং বিজয় শংকরের কাজ ছিল ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে বলে ‘রান এ বল’ ইনিংস খেলে নির্ভরযোগ্য একটি পার্টনারশিপ তৈরি করা।
কিন্তু সেটি করতেও আজ ব্যর্থ হন তারা। ১৭ তম ওভারে মাত্র ১৫ রানে জর্ডনের বলে ফিরে যান মনিশ পান্ডে। পরের ওভারে অর্শদীপ সিংহের বলে ২৬ রানে বিজয় শংকর ফিরে যেতেই ভেঙে পড়ে হায়দ্রাবাদের সমস্ত প্রতিরোধ।
প্রিয়ম, রাশিদ, সন্দীপ বা নটরাজন দাঁড়াতে পারেননি কেউই। ফলে মাত্র ১১৪ রানেই শেষ হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় তুলে নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নেন অর্শদীপ সিংহ এবং ক্রিস জর্ডন। এই অসাধারণ জয়ের ফলে বর্তমানে লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে রইল তারা এবং বাঁচিয়ে রাখল নিজেদের প্লে-অফের যাত্রা।