দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গত কালকের ম্যাচের পর বরুণ চক্রবর্তীর নামটা হয়তো ভুলতে পারবেন না কেউই। আইপিএলের রহস্য স্পিনারদের তালিকায় এক অন্যতম বড় নাম এখন তিনি। তার প্রতিভার ঝলক দেখা দিয়েছিল শুরু থেকেই তবে তা কালকের মত গেম চেঞ্জিং হয়ে ওঠেনি।
কিন্তু অনেকেই হয়ত জানেননা টিএনপিএল থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার ২০১৫ সাল অবধি পেশাদারী ক্রিকেট খেলার কথা তেমন ভাবে ভাবতেই পারেননি। বড় আর্কিটেক্ট হিসাবেই জীবন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
বিনোদ চক্রবর্তী এবং হেমামালিনীর পুত্র বরুণ ক্রিকেটকে নিজের জীবন হিসেবে বেছে নেন নেহাতই আর্থিক সমস্যায় পড়ে। গতকাল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে নিজের নির্ধারিত চার ওভারে কুড়ি রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেবার পর ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ঘোষিত করা হয় তাকে।
কালকের ম্যাচে তার স্পেল যে শুধু কলকাতার জন্য খেলার অভিমুখ ঘুড়িয়ে দিয়েছিল তাই নয়, তালিকায় ছিল শ্রেয়াস আইয়ার, সিমরান হেটমায়ার, স্টয়নিস এবং রিষভ পান্থের মত বড়োসড়ো উইকেট।
ম্যাচ শেষে হর্ষ ভোগলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চক্রবর্তী বলেন,”কালকের উইকেটগুলির মধ্যে সবথেকে ভালো লেগেছে শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেটটি।আমি অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে চাই মা হেমা মালিনী, বাবা বিনোদ চক্রবর্তী, স্ত্রী নেহা, দীনেশ কার্তিক এবং টিমের সমস্ত ফিজিওকে। কালকে আমি চেয়েছিলাম উইকেটের মধ্যে বল রেখে একটি বা দু’টি উইকেট তুলে দিতে। ভগবানের আশীর্বাদে আমি পাঁচটি উইকেট নিতে পেরেছি। “
উচ্ছ্বসিত বরুণ আরও যোগ করেন, “২০১৫ সাল অবধি এভাবে ক্রিকেট খেলার কথা ভাবিনি।আর্কিটেক্ট হিসেবে আমার দিন ভালো যাচ্ছিল না। নতুন কিছু করতেই আমার ক্রিকেটকে বেছে নেওয়া। এরপর আমি নির্বাচিত হই টিএনপিএল এবং সেখান থেকে আমার কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে আগমন।”
প্রত্যেক মানুষের জীবনের পিছনেই বেশকিছু অনবদ্য গল্প লুকিয়ে থাকে। যেমন বরুণ চক্রবর্তীর স্থপতি থেকে নামজাদা ক্রিকেটার হয়ে ওঠার এই গল্পটি।