দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের ডবল হেডারের প্রথম পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
কয়েকটি ভালো শট মেরে কিছুটা আশা জাগালেও আজও ব্যর্থ অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাত্র ১৫ রান করে স্যাম ক্যুরানের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দুটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২২ রানের ছোট্ট ক্যামিও খেলে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে স্যান্টনারের বলে আউট হন দেবদূত পাডিক্কলও।
ফলতো ইনিংসের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে বিরাট কোহলি এবং এবি ডি ভিলিয়ার্সের উপর। মূলত সিঙ্গেল ডাবলসের উপরে নজর দিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেন তারা সঙ্গে খারাপ বলে বাউন্ডারি তো ছিলই। ফলে ১৫ তম ওভারের মধ্যেই শতরান পূর্ণ করে আরসিবি। ১৬ তম ওভারে মনু কুমার সিংহের বলে ১৪ রান তুলে নিয়ে ম্যাচে গতি আনার চেষ্টা করেন কোহলি এবং ডিভিলিয়ার্স।
কিন্তু আজ শেষ অবধি স্থায়ী হতে পারেননি ডিভিলিয়ার্স। স্বকীয় ভঙ্গিতে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে চাহারের বলে ডুপ্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। ১৯ তম ওভারে মঈন আলিকেও দ্রুত ফিরিয়ে দেন ক্যুরান।
ইমরান তাহির এবং রবীন্দ্র জাদেজার বলে দুবার জীবনদান পেলেও আজ তাকে সম্পূর্ণ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন কোহলি। ৪৩ বলে একটি চারও একটি ছয়ের সাহায্যে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন তিনি। কিন্তু রানের গতি বাড়ানোর আগেই স্যাম ক্যুরানের বলে ডুপ্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় কোহলিকেও।
ফলে গতি বাড়ানোর আগেই ভেঙ্গে পড়ে আরসিবির ইনিংস। শেষ ওভারে দীপক চাহারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্রিস মরিসও।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রানেই থেমে যায় আরসিবি।
পিচের গতি কিছুটা মন্থর হলেও এই রান নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে চেন্নাইয়ের মতোই সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে ব্যাঙ্গালোরকে।