দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলে শারজার মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল।
সিদ্ধান্ত যে সঠিক তা প্রমাণিত হয় প্রথম তিন ওভারেই। কারণ প্রথমেই ম্যাক্সওয়েল ফিরিয়ে দেন গত ম্যাচের নায়ক নীতিশ রানাকে।খাতা খোলার আগেই গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ধাক্কা সামলানোর আগেই শামির ঝড়ো বোলিংয়ে রাহুল ত্রিপাঠী এবং উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিককেও হারায় কলকাতা।
ফলে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে শুভমান গিল এবং অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের উপর। নিজের দায়িত্ব যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সামলানোর চেষ্টা করেন তারা। আজ ভালো ফর্মে ছিলেন মর্গ্যান। মাত্র ২৫ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৪০ রানের সুন্দর ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু ইনিংস বড় করার আগেই রবি বিশনোইয়ের বলে বড় শট নিতে গিয়ে সীমানার ধারে ধরা পড়ে যান তিনি। দ্রুত নারিনকেও ফিরিয়ে দেন ক্রিস জর্ডান। ফলতো অনেকটাই চাপে পড়ে যায় কেকেআর। আজ রানে ফিরতে পারেননি কামলেশ নগরকটি এবং প্যাট কামিন্সও। শেষ পর্যন্ত লকি ফার্গুসনের ২৪ এবং শুভমান গিলের ৪৫ বলে তিনটি চার ও চারটি ছয় দিয়ে সাজানো ৫৭ রানের ইনিংসের দৌলতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে পৌঁছয় কেকেআর। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন মহম্মদ শামি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও আজ শেষ করে যেতে পারেননি কে এল রাহুল। চারটি চারের সাহায্যে ২৮ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় গেইল ঝড়। আজ শুরু থেকেই মেজাজে ছিলেন ইউনিভার্স বস।বিশেষত বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি। দুজনের ওভারে চারটি ওভার বাউন্ডারি তুলে নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন কেন তাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রাজা বলা হয়।
অন্যদিকে ভালো সঙ্গ দেন মনদীপ সিংহও।৪৮ বলে ছটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে নিজের সাবধানী অর্ধশত রান পূর্ণ করেন তিনি। প্যাট কামিন্স, লকি ফার্গুসন, বরুন চক্রবর্তীর মত দক্ষ বোলারদের বিরুদ্ধে আজ যেভাবে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাটিং করেছেন তিনি তা সত্যিই অনবদ্য। অন্যদিকে গেইল থাকায় তার কাজ ছিল পার্টনারশিপে অ্যাংকারের রোল পালন করা। সেই কাজ যথাযথভাবেই করেছেন তিনি।
তবে আজ এক মুহূর্তের জন্য নিজের মেজাজ ছাড়েননি ইউনিভার্স বস। লকি ফার্গুসনের ১৭ তম ওভারে পরপর একটি বাউন্ডারি ও একটি বিশাল ওভার বাউন্ডারি তুলে নিয়ে মাত্র ২৫ বলে দুটি চার এবং পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানের ইনিংস খেলে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হলেও পাঞ্জাবের জয় তখন নিশ্চিত।
শেষ অবধি মনদীপ সিংহের অপরাজিত ৬৬ এবং গেইলের মারমুখী ইনিংসের জেরে ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৮ উইকেটের এই বিশাল জয়ের ফলে লিগ টেবিলে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো তারা।