দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের শেষ চারের পৌঁছানোর আশা সমাপ্ত হয়ে যেতে পারত অনেক আগেই। কারণ সাত ম্যাচ খেলে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছিল মাত্র ৪ পয়েন্ট। কিন্তু সেই নিরাশার যাত্রাকে স্বপ্নের দৌড়ে বদলে দেন ডাগআউটে বসে থাকা ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। তিনি দলে ফেরার পর এই ভাগ্য ফিরে পাঞ্জাবের পরপর পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নেয় তারা। যার মধ্যে চারটিতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ যোগদান রয়েছে ইউনিভার্স বসের।
গতকালকের ম্যাচেও ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে রাহুলকে হারানোর পর গেইলের ওপরই নির্ভর হয়ে পড়ে দল।অন্যদিকে মনদীপ সিংহ তখন মন দিয়েছেন সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার কাজে। সুতরাং গেইলের ব্যাটের উপরই লেখা ছিল পাঞ্জাবের ভাগ্য। তার উপরেই ভরসা যোগ্য জবাবও দেন ইউনিভার্স বস। মাত্র ২৫ বলে পাঁচটি বিশাল ছয় ও দুটি চারের সাহায্যে নিজের বিধ্বংসী অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। শেষ অবধি ২৯ বলে ৫১ রান রান করে লকি ফার্গুসনের স্লো বাউন্সার সামলাতে না পেরে সাজঘরে ফিরলেও পাঞ্জাবের জয় তখন অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ জয়ের জন্য তখন তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩ রান।তারই অসাধারণ ইনিংসের কারণেই এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন গেইল।
ম্যাচ শেষে ম্যান অফ দি ম্যাচ পুরস্কার নেওয়ার সময় গেইল বলেন ‘যতক্ষণ টিমের বাইরে ছিলাম মন দিয়ে অনুশীলন করেছি। জিম করেছি, রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে জোর দিয়েছি। তাই মাঠে নেমে ব্যাট হাতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করতে পেরেছি। আমাদের দুজন স্পিনার খুব ভাল। মূলত তাদের পারফরমেন্স এর উপর ভিত্তি করে কাল আমরা ম্যাচে ফিরি। আমি ব্যাটিংটা ঠিক করে করতে পারার ফলে মনদীপের উপর চাপটা কম পড়ছে যেটার দরকার ছিল। সুনীল নারিন এই মূহুর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্পিনার। আমাকে এর আগে অনেকবার আউট করেছে। ওর বিরুদ্ধে কাল কাউন্টার অ্যাটাকে রান পাওয়াটা জরুরি ছিল। পিচে বল ঘুরছিল না, সেটির ফায়দা নিয়েছি। মনদীপ খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। এটা দেখে খুব মিল লাগছিল যে ওর বাবাকে ও মাঠের মাঝেই শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল। কোচ সবসময় বলে টিমের সিনিয়রদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। সেটা করতে পেরে খুব খুশী। টিমের জুনিয়ররা বলছে তুমি এখনই অবসর নিওনা।’