দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং রাজস্থান রয়েলস। টসে জিতে আজ প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইলের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ১৮৫ রানের বিশাল টার্গেটে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। মাত্র ৬৩ বলে নটি দুর্দান্ত ছয় এবং ছটি চার সহযোগে ৯৯ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস উপহার দেন তিনি। অধিনায়কোচিত ৪৬ রান উপহার দেন রাহুলও। আবুধাবির এই বড় মাঠে এই রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া যথেষ্ট কঠিন ছিল রাজস্থানের পক্ষে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও শামির প্রথম ওভারেই বড় জীবনদান পান স্টোকস। শামির বলে শর্ট আর্ম জ্যাব করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেও তালুবন্দী করতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল। আজ এই জীবন দানের সম্পূর্ণ ফায়দা তুলছেন স্টোকসও। বিশেষত লেগস্পিনার মুরুগান আশ্বিনের বলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি। তুলে নেন পরপর দুটি ছয় এবং একটি চার। আজ তার হাত থেকে রেহাই পাননি শামিও। গত ম্যাচের ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাত্র ২৪ বলে ছটি চার ও তিনটি দুরন্ত ছয়ের মাধ্যমে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। কিন্তু ইনিংস আরও বেশি বড় করার আগেই ষষ্ঠ ওভারে তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন ক্রিস জর্ডন।
তবে আজ উইকেট পতনের পরেও রানের গতি পড়তে দেননি সঞ্জু স্যামসন এবং রবিন উথাপ্পা। বলতো মাত্র ৯ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে ৯৩ রানে পৌঁছে যায় রাজস্থান রয়েলস। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে মুরুগান আশ্বিনের বলে সাজঘরে ফেরেন রবিন উথাপ্পা। উথাপ্পা ফিরলেও আজ সঞ্জু স্যামসন ছিলেন ভালো মেজাজে। একই রকম আক্রমণাত্মক খেলা জারি রাখেন তিনি।কিন্তু ২৫ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো বিধ্বংসী ৪৮ রানের ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
তবে আজ ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়েছে কি দানিশ অধিনায়ক স্মিথ এবং বাটলার। শেষ পর্যন্ত মৃতের মাত্র ২০ বলে ৩১ রানের অসাধারণ ইনিংস এবং বাটলারের ২২ রানের ক্যামিওর দৌলতে ১৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় রাজস্থান। এই জয়ের ফলে আপাতত তারা উঠে এলো ১২ পয়েন্টে এবং শেষ চারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আরও একবার জীবিত হলো অনেকগুলি দলের জন্য।