দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ সুপার সানডে ডবল হেডারের প্রথম পর্বে আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল চেন্নাই এবং পাঞ্জাবের মধ্যে। প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
পাঞ্জাবের জন্য বড় সুখবর হল চোট সারিয়ে আজ ময়দানে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ফলে প্রথম থেকেই আজ মারমুখী শুরু করেন পুরনো মায়াঙ্ক-রাহুল জুটি। স্যাম কুর্যান বা দীপক চাহার আজ তাদের আক্রমণাত্মক মেজাজকে থেকে রক্ষা পাননি কেউই। ফলে পঞ্চম ওভারে বোলিং পরিবর্তন করে শার্দুল ঠাকুরকে আনেন মাহি। কিন্তু পরপর দুটি চার তুলে নিয়ে রাহুল বুঝিয়ে দেন আজ বিনা যুদ্ধে মাটি ছাড়তে নারাজ তিনি। কিন্তু অসাধারণ শুরুর পরেও আজ নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি আগারওয়াল।মাত্র ১৫ বলে পাঁচটি অসাধারণ চার দিয়ে সাজানো ২৬ রানের দুরন্ত ক্যামিও খেলে লুঙ্গি এনগিডির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
এরপর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি কে এল রাহুলও তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৭ বলে ২৯ রান সংগ্রহ করে লুঙ্গি এনগিডি শিকার হন তিনিও। ফলে বড় টোটাল তৈরি করার সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল এবং নিকোলাস পুরানের কাঁধে। কিন্তু আজ বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেনি পুরান।১১ তম ওভারে ফিরে ফিরে মাত্র ২ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন শার্দুল ঠাকুর।
ভালো তো সব আশা ছিল ইউনিভার্স বসের উপর, কিন্তু ইমরান তাহিরের ঘূর্ণির জাদুতে আজ এলবিডব্লিউ হয়ে ১২ রানে ফিরতে হয় ক্রিস গেইলকেও।হলে প্রথমবার ভীষণ বড় সমস্যায় পড়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছানোই এখন ছিল তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তার ওপর এই প্রথমবার আজ দলে ছিলেন না ম্যাক্সওয়েলও।
ফলে দীপক হুডা এবং মনদীপ সিংহের উপর ছিল কিংস ইলেভেনের তরীকে তীরে ফেরানোর গুরুদায়িত্ব।আর হাতে ছিল মাত্র সাতটি ওভার। কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে জাদেজার বলে মাত্র ১৪ রানে ফিরতে হয় মনদীপকে।অন্যপ্রান্তে দীপক সম্পূর্ণ চেষ্টা করলেও আজ ব্যর্থ হন ম্যাক্সওয়েলের বদলে দলে আসা জিমি নিশাম। লুঙ্গি এনগিডির বলে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের অসাধারণ ক্যাচের সৌজন্যে মাত্র দুরানেই ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে আজ প্রশংসনীয় ইনিংস উপহার দেন দীপক।অন্যপ্রান্তে পরপর উইকেট পতনের পরেও লুঙ্গি এনগিডির বলেই পরপর দুটি ছয় তুলে নেন তিনি। মাত্র ২৬ বলে দুটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে নিজের দুরন্ত অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত ৬২ রানের দৌলতেই ১৫৩ রানের সম্মানজনক করে পৌঁছায় পাঞ্জাব।