দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ সুপার সানডের ডাবল হেডারের দ্বিতীয় পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান এবং কলকাতা। টসে জিতে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। স্মিথের আমন্ত্রণে ব্যাটিং করতে নেমে আজ মাত্র ৩৫ বলে ছটি ছয় ও পাঁচটি চারের দুর্দান্ত ৬৮ রানের ইনিংস উপহার দেন অধিনায়ক মর্গ্যান।মূলত তার এই দুর্দান্ত ইনিংসের দৌলতেই রাজস্থানের সামনে ১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে কেকেআর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারেই কামিন্সের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে উথাপ্পা এবং স্টোকসকে হারায় রাজস্থান তাদের দলগত স্কোর তখন ২৭।গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ ব্যর্থ হন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও।মাত্র ৪ রানে কামিন্সের তৃতীয় শিকার হিসেবে প্লেড-অন হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় তাকে।ফলতো ম্যাচ জেতানোর সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে জশ বাটলার এবং সঞ্জু স্যামসানের উপর।
কিন্তু আজ বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি স্যামসনও।স্নায়ুর চাপ সহ্য করতে না পেরে শিবম মাভির বলে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ফলতো ইনিংসের শুরুতেই চালকের আসনে পৌঁছে যায় কেকেআর। দুবাইয়ের মাঠে আজ প্রথমবার ঘাতক হয়ে ওঠেন প্যাট কামিন্স। তার আগুন ঝরানো বাউন্সারে দীনেশ কার্তিকের দস্তানা বন্দী হন রিয়ান পরাগও।
ফলে অন্যপ্রান্তে বাটলারের সঙ্গ দেবার গুরুদায়িত্ব এসে পড়ে রাজস্থানের ম্যাজিক ম্যান রাহুল তেওয়াটিয়ার উপর।কিন্তু ভালো শুরু করে কিছুটা আশার আলো দেখালেও আজ রাজস্থানকে সমস্যার মুখ থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারেননি বাটলার। ২২ বলে চারটি চার ও একটি ছয় দিয়ে সাজানো দুরন্ত ৩৫ রানে ইনিংস খেলে বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণি শিকার হতে থাকে। ফলে কেকেআরের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ৮১ রানের থেকে বেশি ব্যবধানে ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া। কারণ তাহলেই আরসিবি থেকে ভালো হয়ে যেতে পারত তাদের নেট রানরেট। আর শেষ চারে পৌঁছানোর জন্য হায়দ্রাবাদ ম্যাচের অপেক্ষা করতে হতোনা তাদের।
কিন্তু কলকাতার জয়ের পথে শেষ বড় বাধা হয়ে ওঠেন রাজস্থানের ম্যাজিক ম্যান রাহুল তেওয়াটিয়া।সুনীল নারিনের মতো অভিজ্ঞ বোলারের বলে পরপর একটি ছয় এবং একটি চার তুলে নেন তিনি। কিন্তু আজ বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতে পারেননি তিনিও। ২৭ বলে ৩১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে বড় শট নিতে গিয়ে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে তার ইনিংসের কারণেই ৮১ রানের বেশি ব্যবধানে জেতার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় কেকেআরের। মরা ম্যাচেও বেশ কিছু ভালো শট খেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন শ্রেয়াস গোপাল। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে রাজস্থানের জন্য। ১৮ তম ওভারে বড় শট নিতে গিয়ে নাগরকোটির বলে আউট হয়ে ফেরেন জোফরা আর্চারও। ১৯ তম ওভারে কার্তিক কিয়া দিকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মাভিও। ফলে নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ১৩১ রানেই থমকে যায় রাজস্থান।
এই জয়ের ফলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে শেষ চারে যাবার আশা কলকাতা জিইয়ে রাখল ঠিকই, কিন্তু তাদের অপেক্ষা করতে হবে হায়দ্রাবাদের পরাজয়ের উপর।