দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের মরিয়া লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। টসে জিতে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
শুরুটা আজ ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের জন্য, চোট সরিয়ে রোহিত শর্মা দলে ফিরলেও তেমনভাবে রান পাননি তিনি। সন্দীপ শর্মা, রশিদ খান এবং জেসন হোল্ডারদের দুরন্ত বোলিংয়ে আজ ভেঙে পড়ে মুম্বাইয়ের ব্যাটিং। শেষপর্যন্ত পোলার্ডের ২৫ বলে ৪১ ও সূর্য কুমার যাদবের ৩৬ রানের ইনিংসের দৌলতেই নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় মুম্বাই।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গত ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজও চমৎকার শুরু করেন বুদ্ধিমান ঋদ্ধিমান। বিশেষত কুলকার্নি এবং কুন্টারনাইলের বিরুদ্ধে সোজা ব্যাটে যেভাবে একের পর এক বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি তা ছিল সত্যিই অনবদ্য। অন্যদিকে ভালো সঙ্গ দেন অধিনায়ক ওয়ার্নারও। চতুর্থ ওভারে প্যাটিনসনের বলে পরপর তিনটি বাউন্ডারি তুলে নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন গত দুই ম্যাচের আক্রমণাত্মক ফর্ম আজও বজায় রাখবেন তিনি। মূলত তাদেরই দুরন্ত ব্যাটিংয়ের দৌলতেই ৫.১ ওভারেই ৫০ রানে পৌঁছে যায় হায়দ্রাবাদ।
ওয়ার্নারের সামনে আজ রেহাই পাননি রহুল চাহারও।সুইপ এবং রিভার্স সুইপে আজ তার লয় ভেঙে দেবার চেষ্টা করেন তিনি। অন্যদিকে ক্রুনাল পান্ডেয়ার উপর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ঋদ্ধিমান সাহা। নবম ওভারে তার বলে অফ সাইড এবং লেগ সাইডে একই রকম সক্রিয়তার সাথে পরপর দুটি বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি। দ্বাদশ মাত্র ৩৬ বলে ছটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে আজ নিজের অধিনায়কোচিত অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। পিছিয়ে ছিলেন না ঋদ্ধিমান সাহাও, একই ওভারে ৩৪ বলে সাতটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে শেষ চারে পৌঁছানোর জন্য তখন দরকার ছিল মাত্র ৪০ রান। ফলে আট ওভার বাকি থাকতেই বাতাসে জয়ের সুগন্ধ পেতে শুরু করে হায়দ্রাবাদ।
শেষ পর্যন্ত ঋদ্ধিমান সাহার ৫৮ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের দৌলতে বিনা উইকেটে ১৭ বল বাকি থাকতেই প্রয়োজনীয় জয় তুলে নিয়ে লীগ টেবিলের তৃতীয় স্থান দখল করে হায়দ্রাবাদ। অর্থাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম এলিমিনেটর খেলবে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং সানরাইজেস হায়দ্রাবাদ। প্রথম এলিমিনেটরের জয়ী দলকে খেলতে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলের সঙ্গে।