দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ গত ম্যাচে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে অসাধারণ জয় তুলে নিয়ে প্লে-অফসে পৌঁছেছে হায়দ্রাবাদ। লীগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে থাকা এই দল প্রথম এলিমিনেটরে মাঠে নামতে চলেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে।গত ম্যাচে সন্দীপ, রাশিদ এবং হোল্ডারদের দুরন্ত বোলিংয়ে ১৪৯ রানের ছোট টোটালেই মুম্বাইকে আটকে দিয়েছিল তারা। ব্যাট হাতেও দুরন্ত ছিলেন ওয়ার্নার এবং ঋদ্ধিমান। ওয়ার্নারের ৮৫ এবং ঋদ্ধির ৫৮ ইরানের দুরন্ত ইনিংসের দৌলতেই কাল বিনা উইকেটে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় হায়দ্রাবাদ।
এই দুরন্ত জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওয়ার্নার বলেন,”পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে হারের পর এই প্রত্যাবর্তন ভীষণই ভালো। ওরা কিছু খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু মুম্বাইয়ের মতো দলকে ১৫০ রানে ধরে রাখতে পারা সত্যি ভালো ছিল। বোলারদের অনেকটা কৃতিত্ব দিতে হবে, নাদিম দুর্দান্ত ছিল। ব্যাট হাতেও আমরা ক্লিনিক্যাল হবার চেষ্টা করেছিলাম। হতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম সবসময় নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠটা দিতে। ফ্র্যাঞ্চাইজির সমর্থন পেয়েছি, ওরা একটা বড় পরিবারের মতো।”
জনি বেয়ারস্টোকে দলে না রাখার প্রসঙ্গে ওয়ার্নার আরও যোগ করেন,”উইলিয়ামসন গত বছর চোট পেয়েছিল ওর জায়গায় দুরন্ত পারফরম্যান্স করে জনি। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আমরা কেবল ৪ জন বিদেশিই খেলাতে পারতাম। আমরা ২০১৬ সালে দেখেছি,আমরা এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম যেখানে আমাদের সমস্ত ম্যাচ জিততে হত খেতাব জয়ের জন্য। আজ রাশিদ খানের হাত থেকে ক্যাচ পড়ার পর ওর প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা গেছে ম্যাচটা ওর জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি আমরা আমাদের এই গতি এবং প্রদর্শনকে আগামী ম্যাচগুলোতে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমি বাস্তবেই খুশি হব।”
আজ প্রথম এলিমিনেটর নিয়েও নিজের মতামত স্পষ্ট করেন ওয়ার্নার। একইসঙ্গে কোহলিকে চ্যালেঞ্জও দেন তিনি। তিনি বলেন,” সৌভাগ্যবশত আমাদের গত কিছু ম্যাচে দুর্দান্ত ছিল আর ম্যাচগুলো জিতে আমরা পজেটিভ মাইন্ডসেট নিয়ে মাঠে নামতে পারবো। ব্যাঙ্গালোর দুর্দান্ত দল, যার নেতৃত্ব ভীষণ ভালোভাবে দিচ্ছেন বিরাট কোহলি। তবে ওদের নিজেদের পক্ষে অনেক বিপদ রয়েছে। আমরা ওদের ২০১৬ সালে ফাইনালে হারিয়ে ছিলাম। এই ডু অর ডাই ম্যাচের চ্যালেঞ্জের জন্য আমি ভীষণ উৎসাহিত হয়ে আছি।”