দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের প্রথম এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল হায়দ্রাবাদ এবং ব্যাঙ্গালোর। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ব্যাঙ্গালোরের জন্য। আজ প্রথম চমক ছিল ওপেনিংয়ে এসেছিলেন কোহলি এবং দেবদত্ত। কিন্তু ফ্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি কেউই। মাত্র ৬ রানে বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দেন হোল্ডার। দেবদত্ত পাডিক্কলও আজ হোল্ডারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। তবে ব্যাঙ্গালোরকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দিতে আজ হাল ধরেন ফিঞ্চ এবং ডি ভিলিয়ার্স। ৩০ বলে তিনটি চার একটি ছয় দিয়ে সাজানো ৩২ রানের ইনিংস খেলে ফিঞ্চ নাদিমের শিকার হলেও মাটি কামড়ে ইনিংসের শেষ অব্দি থাকার চেষ্টা করেছিলেন ডিভিলিয়ার্স।
কিন্তু অন্য প্রান্তে আজ কোন সাহায্য ছিল না খাতা খোলার আগেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যান মঈন আলি। বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি শিবম দুবে এবং ওয়াশিংটন সুন্দরও। শিবম দুবেকে তুলে নিয়ে ফোল্ডার আজ নিজের তৃতীয় শিকার করেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হন নটরাজনের বলে।
ফলে এক প্রান্তে একা হয়ে পড়েন ডিভিলিয়ার্স। মাত্র ৪৩ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ফিরে যান তিনিও। ডি ভিলিয়ার্সকে বধ করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তরুণ নটরাজন। এর সাথে সাথেই ভেঙে পড়ে সমস্ত প্রতিরোধ। শেষ পর্যন্ত নবদীপ সাইনি এবং মহম্মদ সিরাজের চেষ্টায় নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ১৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে ব্যাঙ্গালোর। নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন জেসন হোল্ডার।
আজকের এই ডু অর ডাই ম্যাচে এই রান যে মোটেই যথেষ্ট নয় এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উপরন্তু আজ দলে নেই ক্রিস মরিসও। তাই ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে আজ রান ডিফেন্ড করা যে অত্যন্ত শক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।