দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ আজ আইপিএলের প্রথম এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল হায়দ্রাবাদ এবং ব্যাঙ্গালোর। টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ব্যাঙ্গালোরের জন্য। আজও ব্যর্থ হন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষ পর্যন্ত অ্যারন ফিঞ্চের ৩০ এবং ডিভিলিয়ার্সের গুরুত্বপূর্ণ ৫৬ রানের ইনিংসের দৌলতে নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে হায়দ্রাবাদের সামনে ১৩২ রানের টার্গেট দেয় আরসিবি।
আজ ঋদ্ধিমান সাহা না থাকায় জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গ দেন শ্রীবৎস গোস্বামী। কিন্তু প্রথম ওভারেই তাকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। কিন্তু আজ সময়মতো ইনিংস সামলানোর কাজ করেন মনীশ পান্ডে। ওয়ার্নারকে সাথে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেন তিনি। প্রথমে একটু সময় নিলেও ওয়াশিংটন সুন্দর এবং মহম্মদ সিরাজের বলে পরপর বাউন্ডারি তুলে নিয়ে লয়ে ফিরতে শুরু করেন ওয়ার্নারও। কিন্তু আজ বড় ইনিংসের জন্য ক্রিজে স্থায়ী পারেননি তিনি। সিরাজের দুরন্ত বলে মাত্র ১৭ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।ফলে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে উইলিয়ামসন এবং পাণ্ডের ওপর। কিন্তু ২২ রানে মনীশ পান্ডেকে ফিরিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করেন অ্যাডাম জাম্পা।
অন্যপ্রান্তে রানরেটে চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করেন চাহালও। সেই চাপেই বড় শট খেলতে গিয়ে মাত্র ৭ রানে ফিরতে হয় প্রিয়ম গর্গকে। তবে আজ হায়দ্রাবাদ জয়ের পথে ব্যাঙ্গালোরের সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। স্পিন সহায়ক উইকেটেও আজ যেভাবে সুন্দর এবং চাহালের বলে সুইপ শটে দুটি দুর্দান্ত ওভার বাউন্ডারি তুলে নিয়ে ম্যাচে হায়দ্রাবাদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন তিনি তা ছিল সত্যিই অনবদ্য। শেষ অবধি হোল্ডার এবং উইলিয়ামসনের অর্ধশতাধিক রানের পার্টনারশিপের দৌলতেই ম্যাচে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে আনে হায়দ্রাবাদ। ৪৪ বলে দুটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে আজ নিজের দুরন্ত অর্ধশতকও পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। শেষ চার বলে দরকার ছিল ৮ রান। এমতাবস্থায় পরপর দুটি বাউন্ডারি তুলে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন জেসন হোল্ডার।
আজকের এই জয়ের ফলে এবার ওয়ার্নার বাহিনী মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের।