দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ওমেন টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ট্রেলব্লেজার্স এবং সুপারনোভা। টসে জিতে আজ প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সুপারনোভা অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
প্রথমে ব্যাট করতে ওপেনিং পার্টনারশিপেই যথেষ্ট ভালো শুরু করেন প্রিয়া পুনিয়া এবং চামড়ি আতাপাত্তু। তাদের ৮৯ রানের পার্টনারশিপে দৌলতে আজ অনেকটাই চালকের আসনে ছিল সুপারনোভা। প্রিয়া পুনিয়া একটু সময় নিলেও অন্যদিকে চামড়ি ছিলেন মারমুখী। শেষ পর্যন্ত তিনটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে প্রিয়া সালমা খাতুনের শিকার হলেও অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন চামড়ি আতাপাত্তু। মাত্র ৪৮ বলে চারটি বিশাল ছয় পাঁচটি চারের সাহায্যে আজ গুরুত্বপূর্ণ ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। কিন্তু হার্লিন ডেওলের বলে তিনি সাজঘরে ফিরতেই অন্যপ্রান্তে উইকেটের ধ্বস নামে।
ঝুলন গোস্বামীর হাতে উইকেট তুলে দেন জেমিমা। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের কারণে দ্রুত ফেরেন শশীকলা এবং অনুজা। একা হাতে দায়িত্ব সামলে ২৯ বলে একটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩১ রানের ইনিংস উপহার দেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। কিন্তু আজ রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকেও। তাই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৭ রানেই থমকে যায় সুপারনোভা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ান ডিয়েন্দ্রা ডটিন ভালো শুরু করলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। চারটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ১৫ বলে ২৭ রানের বিধ্বংসী ক্যামিও খেলে আজ সেলমানের শিকার হন তিনি। বাংলার উইকেটকিপার রিচা ঘোষকেও একই ওভারে মাত্র ২ রানেই ফিরিয়ে দেন সেলমান। ফলে সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য দুই তারকা দীপ্তি শর্মা এবং স্মৃতি মান্ধনার ওপর। আজ শুরু থেকেই ইনিংস গড়ে তুলতে বেশ কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন মান্ধনা।
ডটিন আউট হয়ে ফিরে যাওয়ায় রানরেটের চাপও ক্রমাগত বাড়তে থাকে তাদের মাথার উপর। ফলে শেষ পর্যন্ত রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৪০ বলে দুটি কারো একটি ছয় দিয়ে সাজানো ৩৩ রানের ইনিংস খেলে অনুজা পাতিলের বলে আউট হন মান্ধনা।ফলত শেষ ছয় ওভারে ৬১ রান তাড়া করতে নেমে বড় সমস্যায় পড়ে যায় ট্রেনব্লেজার্স। অন্যদিকে দীপ্তি শর্মার সঙ্গ আজ দিতে পারেননি হেমলতাও। রাধা যাদবের বলে মাত্র ৪ রান করেই উইকেটকিপার তানিয়া ভাটিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
তবে মারমুখী শুরু করে আশা জাগিয়ে রাখেন হার্লিন ডেওল এবং দীপ্তি শর্মা। ১৮ তম ওভারে পুনম যাদবের বলে ১১ রান তুলে নিয়ে ম্যাচের অভিমুখ বদলে দেবার চেষ্টা করেন তারা। দু উইকেট তুলে নেওয়া সেলমানকেও আজ যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় দীপ্তি শর্মার সামনে। হাজার ১৯ তম ওভারে তার বলেই পরপর দুটি বাউন্ডারি তুলে নেন তিনি। শেষ ওভারে হার বাঁচাতে হলে সুপারনোভাকে ডিফেন্ড করতে হতো মাত্র ১০ রান। সামনে ছিলেন মারকুটে হার্লিন এবং দীপ্তি। রাধা যাদবের পক্ষে এই রান বাঁচানো ছিল প্রায় অসম্ভব।
শেষ পর্যন্ত দীপ্তি শর্মার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি চার দিয়ে সাজানো এবং হার্লিনের বিধ্বংসী ২৭ রানের ইনিংস সত্বেও জয় তুলে নিতে পারেনি ট্রেলব্লেজার্স।পঞ্চম বলে হার্লিনের উইকেট তুলে নিয়ে সুপারনোভাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রাধা। ফলতো শেষ বলে জিততে হলে ট্রেলব্লেজার্সের দরকার ছিল ৪ রান। কিন্তু মাত্র এক রানই তুলে নিতে পেরেছিল তারা। বলতো দু রানে কঠিন জয় তুলে নেয় সুপারনোভা। এই জয়ের সাথে সাথেই ট্রেলব্লেজার্সের সাথে ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।